ভরসন্ধ্যায় বনগাঁ শহরের বাটার মোড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির পরে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও ঘটনার কিনারা করতে পারেনি। ধরা পড়েনি দুষ্কৃতীরা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ‘ভূমিকা’য় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সিআইডি তদন্তের দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার ‘বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতি’র বনগাঁ মহকুমা শাখার পক্ষ থেকে সিআইডি তদন্ত-সহ চার দফা দাবিতে মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সকালে মহকুমার ১৩টি ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরে প্রতিবাদ-মিছিল করা হয়। এ দিন মহকুমার সব সোনার দোকান বন্ধ ছিল। ‘বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতি’র মহকুমা শাখার সম্পাদক বিনয় সিংহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। প্রকাশ্যে খুন-ডাকাতি হচ্ছে। চুরি-কেপমারির ঘটনা লেগেই রয়েছে। পুলিশ নির্বিকার। পুলিশ প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ডাকাতির ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হল না। পুলিশের উপরে আমাদের আর ভরসা নেই। সে কারণেই সিআইডি তদন্তের দাবি করা হয়েছে।”
মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি পুলিশের। ব্যবসায়ীদের দাবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।” |
পুলিশে দাবি, ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা গিয়েছে। সন্দেহভাজন মনে হওয়ায় নদিয়ার তাহেরপুর থেকে সুভাষ নাথ ওরফে গাঙ্গিয়া নামে এক দুষ্কৃতীকে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ব্যবসায়ীরা সিআইডি-র কাছে দাবি জানাতেই পারেন।”
২৫ মে ওই ডাকাতির পরে তদন্তে আসেন জেলা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ডিআইজি (পিআর) অনিল কুমার ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং ডাকাতির কিনারার আশ্বাস দেন। আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) মিহির ভট্টাচার্যও একই আশ্বাস দেন।
স্বর্ণশিল্পীরা মহকুমাশাসকের কাছে বর্তমানে মহকুমার পুলিশ অফিসারদের দ্রুত বদলি করে মজবুত পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানান। ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে জনপ্রতিনিধিদের আরও ‘সক্রিয়’ হওয়ার দাবিও তুলেছেন।
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানান, গত সোমবার ডিজি-র কাছে তিনিও ওই ডাকাতির কিনারার জন্য সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। |