টুকরো খবর
ভোট মিটতেই কুপার্সে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল কংগ্রেস-তৃণমূল
নির্বিঘ্ন নির্বাচনের পরে কুপার্স ক্যাম্প রবিবার রাতেই সংঘর্ষে জড়াল কংগ্রেস-তৃণমূল। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন দুই মহিলা-সহ ৮ জন। আহত ৬ জনকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জখম হয়েছেন ওই ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী পরিতোষ মাঝির দাদা পরিমলবাবুও। জখমদের মধ্যে ৫ জনই তাদের সমর্থক বলে কংগ্রেসের দাবি। নদিয়া জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র অবশ্য বলেন, “ঘটনাটি আদপেই রাজনৈতিক নয়। নিতান্তই পারিবারিক ঝামেলা।” কংগ্রেসের অভিযোগ অবশ্য, ওই দিন পরিতোষবাবুর বাড়ির সামনে গিয়ে দুই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী গালিগালাজ করছিল। জানতে পেরে ছুটে আসেন স্থানীয় কংগ্রেস সমর্থকেরা। বচসার সূত্রপাত তা থেকেই। ক্রমে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। এই সময়ে পরিতোষবাবুর দাদা পরিমলবাবুকে। প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য দুলাল পাত্র বলেন, “তৃণমূল অনেক দিন ধরেই আমাদের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছিল। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরপরেই মারধর শুরু করে তারা।” তৃণমূল বিধায়ক আবিররঞ্জন বিশ্বাস অবশ্য বলেন, “গণ্ডগোল একটা হয়েছে ঠিকই। তবে আমাদের তিন কর্মীও জখম হয়েছেন।”

মন খারাপ থাকলে আঁকতে বসেন পূর্বাশা
উচ্চমাধ্যমিকে মুর্শিদাবাদ জেলায় ৫টি বিষয়ে লেটার নম্বর-সহ ৪৫১ পেয়ে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বহরমপুর গার্লস মহাকালী পাঠশালার ছাত্রী পূর্বাশা মিত্র। ধরাবাঁধা নিয়মের মধ্যে কখনও পড়াশোনা না করেও বাংলায় ৮১, ইংরেজিতে ৮১, বায়োলজিতে ৯৫, কেমিস্ট্রিতে ৯৬ এবং ফিজিক্সে ৯৮ নম্বর পেয়েছেন ওই ছাত্রী। পূর্বাশার কথায়, “ঘড়ি ধরে আমি কখনও পড়িনি। যখন পড়তে ইচ্ছে হয়েছে, তখনই বই নিয়ে বসেছি।” পূর্বাশার অবসর সময় কেটেছে গল্পের বই পড়ে আর রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে। তবে মন খারাপ করলে রং-তুলি নিয়ে ছবি আঁকতে বসে যায়। পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য বাবা ত্বক বিশেষজ্ঞ শুভব্রত মিত্র ও মা প্রধান শিক্ষিকা নন্দিনী দাশগুপ্তের অবদান রয়েছে বলে মেয়ে জানান। মা নন্দিনীদেবী তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু। মায়ের হাতের নিরামিষ রান্না তাঁর প্রিয় খাবার।

পড়ার ফাঁকেও রহস্য গল্প পড়েন সুমন
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে মেডিক্যালে রাজ্যে প্রথম এবং উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে দ্বাদশ তথা জেলায় প্রথম স্থান পেয়েছেন বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলের ছাত্র সুমন সাহা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সুমন ভাল ফল করায় উচ্ছ্বসিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রধান শিক্ষক সুকেশ ভৌমিক বলেন, “সুমনের মত ছাত্ররা জয়েন্ট এন্ট্রান্সকে সামনে রেখে পড়াশোনা করার পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রমকেও আত্মস্থ করার ফলেই দুটি ক্ষেত্রেই সাফল্য মিলেছে।” উচ্চমাধ্যমিকের মত মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও জেলায় প্রথম হন সুমন। ২০১০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুল থেকেই ৮টি বিষয়ে লেটার-সহ ৫৫৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম এবং জেলায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। সুমনের অবসর সময় কেটেছে গল্পের বই পড়ে ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে। রহস্য ও রোমাঞ্চের বই রয়েছে তাঁর পছন্দের তালিকায়।

ভাল ফল হওয়ায় খুশি কৃষ্ণনগরের স্কুলগুলিও
কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল, হোলি ফ্যামিলি গার্লস, কৃষ্ণনগর রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের মতো শহরের নামী স্কুলগুলো এ বারও তাদের সুনাম বজায় রাখায় খুশি কৃষ্ণনগর। রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুবি দাস বলেন, “আমাদের স্কুলে ভাল ছাত্রীরাই ভর্তি হয়। তাই ভাল ফলই প্রত্যাশিত। তবে প্রত্যেক ছাত্রীর উপরে নজর দেওয়া হয়েছিল।” হোলি ফ্যামিলি স্কুলের সিস্টার আনসিটার কথায়, “মাঝারি মানের ছাত্রীরাই আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়। তাই আমরা ক্লাসের বাইরেও ছাত্রীদের পড়া দেখিয়ে দেওয়ার উপরে জোর দিয়েছি।” কবি বিজয়লাল হায়ার সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ২০ জন ছাত্রকে নিয়ে একটি করে গ্রুপ করি। প্রত্যেকের উপরে আলাদা করে নজর দেওয়া হয়।” কৃষ্ণনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল ভট্টাচার্যর কথায়, “আমাদের স্কুলে একেবারে নীচের দিকের ছেলেরা ভর্তি হয়। কিন্তু স্কুলের শিক্ষকেরা প্রচণ্ড পরিশ্রম করেন তাদের ভাল ফল করানোর জন্য।”

উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর
উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ায় মাদ্রাসায় ঢুকে ভাঙচুরের ঘটনায় আব্দুল মান্নান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি পদ্ম মালায়। সোমবার দুপুরে পরীক্ষার ফল জানতে ইসলামগঞ্জ হাইমাদ্রাসায় যায় আব্দুল। দু’টি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার কথা জানতে পেরে স্কুলে তাণ্ডব চালায় আব্দুল। ভাঙচুর করে চেয়ার-টেবিল। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল মালিথা বলেন, “অকৃতকার্য হওয়ায় ওই ছাত্র স্কুলে চড়াও হয়। ওর বিরুদ্ধে আগেও এরকম অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের পরীক্ষাতেও টুকতে বাধা দেওয়ায় আব্দুল অশান্তি করত। আমরা আজ বাধ্য হয়েই পুলিশে খবর দিই।” প্রসঙ্গত, ট্রেনের কামরায় বসিরহাট কলেজের পরীক্ষার খাতা কুড়িয়ে পেয়েছিল আব্দুল। বারাসত স্টেশনে রাতভর সেই খাতার বান্ডিল পাহারা দিয়ে পরের দিন ভোরে বসিরহাটে গিয়ে পুলিশের হাতে খাতাগুলো তুলে দেয় সে।

গরমের জ্বরে চার শিশুর মৃত্যু
চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যের মধ্যে ফরাক্কার বাসিন্দা রাকিবুল শেখ (২), ফুলতারা খাতুন (৪), নুরজামান শেখ (৪) ও দেড় বছরের হাবিবা খাতুন মারা যায়। হাসপাতাল সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “জ্বর ও খিঁচুনি নিয়ে ওই শিশুদের এ দিন দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চার শিশুরই সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।” হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ দৈবকীনন্দন হালদার বলেন, “অত্যাধিক গরমের জন্যই এই চার শিশুর ভাইরাস ঘটিত জ্বর হয়েছিল।”

স্ত্রী-পুত্রের হাতে খুন
পুত্রবধূর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে মনসুর শেখ (৫৫) নামে এক প্রৌঢ়কে শ্বাসরোধ করে খুন করল তাঁরই স্ত্রী আনোয়ারা বিবি এবং পুত্র আসাবুল ইসলাম। পুলিশ আনোয়ারাকে গ্রেফতার করেছে কিন্তু আসাবুল পলাতক। মনসুরের পুত্রবধূকে জেরার পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। হরিহরপাড়ার খোলারঘাটের ঘটনা। আসাবুলের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.