টুকরো খবর
রোগা হতে ‘ডায়েটে’ সাড়ে ১৩ কেজির বব
চিকিৎসাকেন্দ্রে ‘স্পঞ্জ বব’।
চেহারা নিয়ে চিন্তিত স্পঞ্জ বব। তাই এ বার সে-ও ‘স্লিম’ হতে চায়। সর্ব সাকুল্যে তার ওজন ১৩.৫ কিলোগ্রাম। কিন্তু মার্জার বাহিনীর হৃষ্টপুষ্টতম সদস্য হওয়ার রেকর্ডটি আপাতত তারই। এ বার সে শুরু করেছে ব্যায়াম আর ‘ডায়েট’। রোগা হওয়ার জন্য। এই কাজে ন’বছরের বেড়াল ববকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে আমেরিকার ‘অ্যানিমাল হাভেন’ নামের একটি সংস্থা। এই সংস্থার অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর কেন্দ্রা মারা জানিয়েছেন, ওকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রোটিন জাতীয় খাবার। এখন ববের খাবারের তালিকায় রয়েছে মুরগির মাংস, মাছ, নানা ধরনের সব্জি। তবে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একদমই বাদ। খাওয়ার পাশাপাশি করা হয়েছে তার ব্যায়ামের ব্যবস্থাও। তবে একটু অন্য ভাবে। এমনিতেই মোটাসোটা বব খুব একটা নড়তে-চড়তে পছন্দ করে না। তাই মাঝে মধ্যে সারা ঘরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে খাবারের ছোট ছোট টুকরো। আর সেগুলি খেতে বাধ্য হয়েই সারা ঘর জুড়ে হাঁটতে হচ্ছে স্পঞ্জ ববকে। ফলে দু’মাসের মধ্যেই এক কিলোগ্রাম মতো ওজন কমেছে তার। সংস্থাটির কর্মীরা আশাবাদী, এই পদ্ধতিতে প্রতি মাসে তার ওজন ঝরবে দ্রুত। আর এই গতিতে চলতে থাকলে আট মাসের মধ্যেই একদম স্লিম হয়ে যাবে সে। তখন হয়তো নিজের মতোই খোশমেজাজি কোনও পরিবারে গিয়ে মহা আদর-যত্নে থাকবে বব।

পুকুর ‘ভরাট’, বালি থেকে গ্রেফতার ৩
দু’টি পৃথক পুকুর ভরাটের অভিযোগে শনিবার রাতে বালি ও বেলুড় এলাকা থেকে এক তৃণমূলকর্মী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম প্রকাশ কুণ্ডু ওরফে ওমপ্রকাশ, সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদীপ মণ্ডল।পুলিশ জানায়, বালির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পুকুর বোজানো হচ্ছে বলে বিএলআরও দফতর বালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। রবীন জানা নামে এক ব্যক্তি বিএলআরও দফতরে অভিযোগ করেন, অনুমতি ছাড়াই অন্যায় ভাবে তাঁর পুকুর কিছু লোক ভরাট করছে। এর পরেই বিএলআরও দফতর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের দাবি, তদন্তে তারা জেনেছে, ওই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূলকর্মী প্রকাশ কুণ্ডু ওরফে ওমপ্রকাশ জড়িত। তৃণমূলের বালি ব্লকের প্রেসিডেন্ট তপজিল আহমেদ বলেন, “আইন আইনের মতো ব্যবস্থা নিয়েছে। দল কী ব্যবস্থা নেবে, সে সিদ্ধান্ত পরে হবে।” অন্য দিকে, বালির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেলুড় ঘোষেস লেনে একটি পুকুর বোজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ দায়ের করে বালি পুরসভা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ ও প্রদীপকে গ্রেফতার করা হয়। বালি পুরসভার চেয়ারম্যান অরুণাভ লাহিড়ী বলেন, “কয়েক মাস আগে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে কাজ বন্ধ করার জন্য নোটিস দিয়েছিলাম। কিন্তু তা না মেনেই পুকুর ভরাট হচ্ছিল। তাই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ জানাই।”

দেশে শব্দবাজি নিয়ে অভিন্ন নীতির দাবি
সারা দেশে শব্দবাজি তৈরি ও বিক্রির ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতি অনুসরণের দাবি তুলল ‘সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি’। সংগঠনের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ৯০ ডেসিবেল-এর চেয়ে বেশি মাত্রার শব্দবাজি তৈরি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে এর চেয়ে বেশি মাত্রার শব্দবাজি তৈরি ও বিক্রি হয়। সংগঠনের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সব রাজ্যে একই আইন থাকা বাঞ্ছনীয়। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে ৯০ ডেসিবেল শব্দ মাত্রা বেঁধে দেওয়ায় বাজি শিল্পে নিযুক্ত কয়েক লক্ষ কারিগর এবং ব্যবসায়ীর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান বাবলা রায় সম্প্রতি অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে অন্য রাজ্য থেকে চোরাপথে বেশি শব্দমাত্রার বাজি এ রাজ্যে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ী, কারিগরদের আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে রাজ্য প্রাপ্য শুল্কও পাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে সংগঠন। এ নিয়ে তাঁর কাছে দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে।

স্থায়ী চিকিৎসক নেই গরুমারায়
জাতীয় উদ্যান হওয়া সত্ত্বেও গরুমারায় স্থায়ী প্রাণী চিকিৎসক নেই। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় পরিবেশ প্রেমীরা এ জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও সুরাহা হয়নি। জঙ্গলের অসুস্থ বুনোর খোঁজ মিললে তখন লাটাগুড়ি লাগোয়া সরকারি প্রাণী সম্পদ দফতরের চিকিৎসকদের নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাণী সম্পদ দফতরের যে চিকিৎসকদের এখানে আনা হয় তারাও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করেন। গরুমারার জাতীয় উদ্যানে পেছনের পায়ে জখম নিয়ে একটি হাতি ঘুরছে। জঙ্গলের বুক চিরে যাওয়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী বহু যাত্রী হাতিটিকে দেখেছেন। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ-২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “স্থায়ী চিকিৎসক বক্সা এবং জলদাপাড়ায় আছেন। আমাদের এখানেও থাকলে সুবিধা হত। কারণ বাইরের থেকে চিকিৎসক নিয়ে আসতে কিছুটা সময় তো নষ্ট হয়েই যায়।” বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “বন্যপ্রাণির চিকিৎসার জন্য প্রাণী চিকিৎসকরা যাতে প্রশিক্ষণ পান সে জন্য প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে কথাও বলেছি।” পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক অনির্বাণ মজুমদার, ওদলাবাড়ির সংগঠন নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চারের পক্ষে সুজিত দাস বলেন, “বন্যপ্রাণীদের জন্যে চিকিৎসায় পৃথক প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদেরই এখানে আনা প্রয়োজন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.