ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের পুড়ে যাওয়া অংশ থেকে বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু কম্পিউটার ও মূল হার্ড ডিস্ক ফেরত চেয়ে শনিবার আলিপুর আদালতে আবেদন করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনজীবী সেলিম রহমান জানান, বাজেয়াপ্ত করা মূল হার্ড ডিস্ক এবং কম্পিউটারে রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। ওই তথ্যগুলি ছাড়া রোগীদের চিকিৎসা করতে সমস্যা হবে বলে তিনি আদালতকে জানান। আবেদনের সময়ে সরকারি আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তাই ওই আবেদনের প্রতিলিপি সরকার পক্ষকে সরবরাহ করতে নির্দেশ দেন বিচারক সুপর্ণা রায়। একই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই আবেদনটি খতিয়ে দেখে মামলার তদন্তকারী অফিসারকে ২৬ জুন একটি রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেন বিচারক। আমরি হাসপাতালের ‘অ্যানেক্স বিল্ডিং’-এ গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতের অগ্নিকাণ্ডে ৯২ জন মারা যান। তার পরেই হাসপাতালের ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি ‘সিল’ করে দেয় পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে সেখান থেকে বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার মধ্যে কম্পিউটার এবং তার হার্ড ডিস্ক-ও রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেখানে প্রবেশাধিকার চেয়ে সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেন। ৩০ মে হাসপাতালের আধিকারিকদের ওই ‘অ্যানেক্স বিল্ডিং’-এ যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। আধিকারিকদের মধ্যে যাঁরা অভিযুক্ত, জামিনে মুক্ত, তাঁরাও সেখানে যাতায়াত করতে পারবেন বলে আদালত জানায়। অগ্নিদগ্ধ অংশের কোনও ধরনের রদবদল করা যাবে না বলে আদালত নির্দেশ দেয়। ওখানে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি ও সাজ-সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ করার অনুমতি দিলেও সেই সব যন্ত্রপাতি সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা যাবে না বলেও আদালত জানিয়ে দেয়।
|
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে ‘ভাঙচুর’ হল নার্সিংহোমে। এই ঘটনাকে ঘিরে শনিবার সকালে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বাধল নৈহাটির মোক্তার বটতলা এলাকায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল ছোড়ে। বিক্ষোভকারীদের পাল্টা দাবি, পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাঁদের কয়েকজন জখম হয়েছেন। একজনকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত টিঙ্কু মজুমদার (২৮) বসিরহাটের ঘোড়ারস গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় টিঙ্কুদেবী ওই নার্সিংহোমে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর বাবা বুলু দে’র অভিযোগ, “রক্ত এনেও এখানকার পরিকাঠামোর অভাবে মেয়ের দেহে দেওয়া যায়নি। ওদের গাফিলতিতেই মেয়ে মারা গেল।” এরপরেই মৃতার আত্মীয়রা নার্সিংহোমের অফিস, দরজা-জানলা এবং চিকিৎসার সরঞ্জাম ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। নার্সিংহোমের কর্মীদেরও নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
|
এসএসকেএম হাসপাতালে ‘ইনস্টিটিউট অফ নিওনেটোলজি’-র উদ্বোধন হল শনিবার। একই ভবনে সদ্যোজাতদের জন্য সব রকম চিকিৎসার জন্যই এই ব্যবস্থা। আটতলা ভবনের দু’টি তলায় আপাতত কাজ হবে। এক তলায় ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’-এর ২৫টি শয্যা এবং শিশুর মায়েদের থাকার ৫টি শয্যা রয়েছে। রয়েছে ‘নিউরো ডেভেলপমেন্ট ক্লিনিক ও আর্লি ইনভেস্টিগেশন কেয়ার ইউনিট’। এসএসকেএমের অধ্যক্ষ প্রদীপ মিত্রের কথায়, “একই ছাদের তলায় এখানে সদ্যোজাতদের সব রকম শারীরিক অসুবিধার চিকিৎসা, অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকছে। পরবর্তীকালে এখানে একটি ‘নিওন্যাটস জেনেটিক ল্যাব’ ও একটি ‘মেকানাইজড লন্ড্রি’ চালু হওয়ার কথা।” এ দিন সকালে এসএসকেএমের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের তরফে শিশু ডায়বেটিস রোগীদের জন্য সচেতনতা শিবিরের আয়োজনও করা হয়। বিভাগীয় প্রধান শুভঙ্কর চৌধুরী জানান, শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিস ক্রমশ বাড়ছে। এই শিশুদের কী ভাবে ইনসুলিন ইঞ্জেকশনদিতে হবে, শরীরের যত্ন কী ভাবে নিতে হবে, কী খাবে, কী খাবে না, কী ভাবে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কোন কোন ভুল ধারণা মন থেকে দূর করতে হবে তা বাবা-মা ও শিশুরোগীকে বোঝাতেই নিয়মিত এইরকম শিবির আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। |