লোকালয়ে ঢুকে পড়া উন্মত্ত দাঁতাল কিংবা ‘রোগ’ ঘোষণা করা বুনো হাতি ধরে পোষ মানানোর কথা ভাবছে বন দফতর। আর তাদের বশে আনতে উত্তরবঙ্গে একটি ‘রেসকিউ সেন্টার’ তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তবে এ কাজে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের প্রোজেক্ট এলিফ্যান্টের অনুমোদন আদৌ মিলবে কিনা তা নিয়ে বনকর্তাদের অনেকেই সন্দিহান। রাজ্য বন দফতরের এক শীর্ষকর্তার কথায়, “কেন্দ্রীয় বননীতি অনুযায়ী বুনো হাতিদের ঘেরাটোপে বন্দি করে রাখা যায় না। ফলে রেসকিউ সেন্টার গড়ে তাদের আটকে রাখার প্রশ্ন নেই।” তবে রেসকিউ সেন্টারের জন্য জমির খোঁজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে বন বিভাগ। শনিবার বিকেল নাগাদ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর রেঞ্জের চেকো বিট এলাকায় একটি জমি ঘুরে দেখেন বনকর্তারা। রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) সীতাংশুবিকাশ মন্ডল বলেন, “রেসকিউ সেন্টার তৈরির অনুমতি চেয়ে সেন্ট্রাল জু অথরিটির কাছে আবেদন করা হয়েছে। সে আবেদন যদি মঞ্জুর হয় তবেই দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে একটি করে রেসকিউ সেন্টার হবে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে একশো হেক্টর এলাকায় ওই রেসকিউ সেন্টার তৈরি হবে। সেখানে চারদিকে পরিখা ও বৈদুতিক তারের বেড়া দিয়ে হাতি রাখা হবে।
|
ফের চিতাবাঘ হত্যার ঘটনা ঘটল অসমে। পুলিশ ও বন বিভাগ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যোরহাটের কুসুম চা বাগান সাফ করার সময়, একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতবাঘ নুপুক কুর্মি নামে এক মহিলাকে আক্রমণ করে। চিৎকার শুনে দিগন্ত দত্ত নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে চিতাবাঘটি তাঁকে আক্রমণ করে। দিগন্তবাবু ধারালো অস্ত্র চালিয়ে ঘায়েল করেন চিতাবাঘটিকে। খবর দেওয়া হয় বন বিভাগে। কিন্তু বনকর্মীরা আসার আগেই বাগান কর্মীরা চিতাবাঘটিকে ঘিরে ধরে হত্যা করে ফেলেন। তার মাথা ও থাবাগুলিও কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। বনকর্মীরা চিতাবাঘের বাকি দেহাংশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠান। পরে, দেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, তিতাবরের খারখোয়া অঞ্চলে কাল স্থানীয় বাসিন্দারা চিতাবাঘের একটি সদ্যোজাত ছানাকে উদ্ধার করে তাকেবনবিভাগের হাতে তুলে দেন। পরে, শাবকটিকেকাজিরাঙা প্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে পাঠানো হয়। |