একটি নির্মীয়মাণ তোরণ ভেঙে আহত হয়েছেন ৬ জন। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটে নবদ্বীপের রানিরঘাট রোডে। ২৫ ফুট চওড়া ও ৪০ ফুট উঁচু তোরণটি স্থানীয় একটি মন্দিরের তরফে রাস্তার মোড়ে নির্মাণ করা হচ্ছিল। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তোরণটি। জখম হন পাঁচ শ্রমিক। আহত হন এক পথচারীও। দমকল ও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে যান পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা। আহতদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নবদ্বীপের দমকলকেন্দ্রের ওসি শক্তিরঞ্জন দাস বলেন, “নির্মাণে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।” এ ব্যাপারে পূর্ত দফতরের ভারপ্রাপ্ত বাস্তুকার দিব্যেন্দু বসু বলেন, “এই নির্মাণের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে আমাদের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।” নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “ পুরসভার অনুমতি নিয়েই তোরণ তৈরি করা হচ্ছিল। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” নবদ্বীপ থানার আইসি শঙ্করকুমার রায়চৌধুরী বলেন, “এখনও কোনও অভিযোগ মেলেনি। তবে এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
দুর্ঘটনা, প্রহৃত ৬ পুলিশকর্মী |
লরির ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্যুর পরে উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে গিয়ে প্রহৃত হলেন ছয় পুলিশকর্মী। পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। ছাত্রের নাম রাহুল মণ্ডল (১৪)। শুক্রবার সকালে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল নদিয়ার তেহট্টের বার্নিয়ার বারুইপাড়ার রাহুল। পশ্চিমপাড়ার সামনে একটি লরি তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পলসণ্ডা হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রের। ছুটে আসেন এলাকার লোক। তাঁরা ওই লরিটিকে আটকে ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ফাঁড়ি থেকে চার পুলিশ কর্মী এসে বাধা দিতে চেষ্টা করেন। তখনই তাঁরা জনতার রোষের মুখে পড়েন। পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী যায়। তত ক্ষণে ওই এলাকায় জড়ো হয়েছেন প্রায় শ’দুয়েক লোক। তাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আরও দুই পুলিশকর্মী জখম হন। পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”
|
পিটিয়ে খুনে গ্রেফতার দুই |
বচসার জেরে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় জটাধারী দাস ও গোলবদন বাগদি নামে দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বড়ঞার ফতেপুর মোড়ে কেশব ঘোষ (৩৬) নামে এক যুবকের সঙ্গে বচসা হয় ওই দুই স্থানীয় দোকান মালিকের। কেশবের গায়ে গরম জল ঢেলে দিয়ে ওই দুই দোকানি তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। ঘটনাস্থলেই মারা যান কেশব। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তদের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
|
বন্ধুর ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছিলেন সরিফ শেখ (৩৫)। টানা সাতদিন চিকিৎসা চলার পরে শুক্রবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর বাড়ি বড়ঞায়। ২৫ মে আব্দুল রব নামে তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে মস্করার সময়ে বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে আহত হন সরিফ। পাইপগান-সহ আব্দুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় আব্দুল জানায় সরিফ তার বন্ধু। নিছকই মজা করতে গিয়ে পাইপগান থেকে ছিটকে যায় গুলি। গুলিবিদ্ধ সরিফকে আব্দুলই নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেই আব্দুলেরই এ দিন পুলিশের কাছে আক্ষেপ, এই ভুল আমি কী করে করলাম।
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রানিনগরের গোধনপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী প্রহ্লাদ দাস এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই চিকিৎসক অভিযোগ অস্বীকার করেন। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, “ওই কর্মী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। তাঁকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল মাত্র।”
|
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বৃহস্পতিবার রাতে বুলু ঘোষ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে শক্তিপুর ফাঁড়ির পুলিশ। তার বাড়ি রেজিনগরের মিঞা-ঘোষপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
|
গরু নিয়ে ব্লক অফিস ঘেরাও করে বুধবার রাতে ঘণ্টা খানেক বিক্ষোভ দেখালেন জলঙ্গির চর এলাকার বাসিন্দারা। ডোমকলের মহকুমাশাসক প্রশান্ত অধিকারী বলেন, “ফসল নষ্ট নিয়ে চাষিদের সঙ্গে গরু-মালিকদের গণ্ডগোল হয়। শুক্রবার দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়।” |