তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে অশান্তি ছড়াল পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি এলাকায়। পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকার খোট্টাডিহি গ্রামের ঘটনা। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, একটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত অবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষ, মিলল বোমা। |
বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল নেতা অসিত মণ্ডল ও জামুড়িয়া ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ রানার গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরিবর্তনের পর থেকেই খোট্টাডিহির খোলামুখ খনি ও শোনপুর বাজারি প্রকল্পের কয়লা চুরিতে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য প্রায়ই সংঘর্ষ বাধছে তৃণমূলের এই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে। অসিতবাবুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে ও বাউরিপাড়ায় সাধন বাউরির বাড়িতে বোমা ফেলে পালিয়ে যায় সিদ্ধার্থবাবুর মদতপুষ্ট কয়লাচোররা। তাঁর কথায়, “সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধার্থবাবুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেয় কয়লাচোর যুধিষ্ঠির ঘোষ ও সিপিএমের গুণ্ডা লাল্টু কাজি।” এ দিন তারাই তাঁকে ও সাধনবাবুকে আক্রমণ করেছিল বলে দাবি তাঁর।
সিদ্ধার্থবাবুর পাল্টা অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে অসিতবাবুর নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা তাঁদের গ্রামের একটি ক্লাবে এবং তাঁর, যুধিষ্ঠির ঘোষ ও রাসবিহারী ঘোষ নামে এক জনের বাড়িতে বোমা ছোড়ে। ভয়ে তাঁরা জানলা দরজা খুলতে পারেননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তাঁর দাবি, অসিতবাবুরাই সিপিএমের লোকজনকে তৃণমূলে ঢুকিয়েছেন। তাদের নিয়ে এলাকায় অবৈধ কয়লার ব্যবসা চালাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিবাদ করলেই আক্রমণ করা হচ্ছে তাঁদের। যদিও অসিতবাবুর দাবি, “সরকার পরিবর্তনের কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধার্থবাবু নিজে কয়লার কারবারে নেমে পড়েন।” তিনি জানান, প্রথম থেকেই তাঁরা দলের ভিতর এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তৃণমূল-কর্মীদের মারধর করেছে বা সিপিএমের হয়ে এলাকা দখল করেছে এমন কাউকে দলে নেওয়া যাবে না বলেও দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধার্থবাবু সে কথায় কান দেননি। তাঁর কথায়, “এখন এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করতে চাইছেন সিদ্ধার্থবাবু। কিন্তু আমরা কিছুতেই তা মেনে নেব না।” |
বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। |
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেও ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন তৃণমূল-কর্মী জখম হয়। তার জেরে দু’পক্ষেরই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
|