|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
সমগ্রেও নেই সে শিলালিপি |
বইপোকা |
বঙ্গীয় বইপাড়ার সমগ্র প্রায়শ খণ্ডিতের পথে চলে। যে গ্রন্থে যাহা অত্যাবশ্যক তাহাকেই সমগ্রে সংকলিত করিবার কালে ছাঁটিয়া দেন প্রকাশক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের সংকলনে সম্পাদনা বলিয়া কিছু ঘটে না, ফলে প্রকাশকের ছাঁটাই লইয়া কথাবার্তাও চলে না। ধরা যাউক, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিনলিপি ও ভ্রমণকাহিনির সংকলন দিনের পরে দিন (মিত্র ও ঘোষ)-এর কথাই। ইহার ‘অভিযাত্রিক’-এর শেষাংশ সম্বলপুরের বিক্রমখোল নামক স্থানে প্রাগৈতিহাসিক যুগের সদ্য-আবিষ্কৃত শিলালিপি দেখিতে যাওয়ার কাহিনি। ‘বঙ্গশ্রী’ পত্রিকা-প্রযোজিত সেই ভ্রমণে পথিক ছিলেন চারি জন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘বঙ্গশ্রী’-র সহকারী সম্পাদক কিরণকুমার রায়, প্রমোদরঞ্জন দাসগুপ্ত এবং আলোকচিত্রী হিসাবে পরিমল গোস্বামী। বিভূতিভূষণ লিখিতেছেন, ‘পরিমল বিভিন্ন দিক থেকে শিলালিপির ফটো নিলে, অক্ষরগুলির অবিকল প্রতিলিপিও এঁকে নিলে।’ পরিমল গোস্বামী লিখিতেছেন, ‘আমার সেই আঁকা ছবিখানি বিভূতিবাবুর অভিযাত্রিক বইতে ছাপা হয়েছে।’ (বনপথের পাঁচালী, প্রকাশক শতদল গোস্বামী, ১৯৭৪)। কিন্তু কোথায় সেই আঁকা ছবি? যে শিলালিপি অবিস্মরণীয় সেই ভ্রমণের লক্ষ্য তাহা দিনের পরে দিন কিংবা বিভূতি রচনাবলী (জন্মশতবার্ষিকী সংস্করণ, মিত্র ও ঘোষ) হইতে উধাও! তবে আশার কথা, পরিমল গোস্বামী-র সেই বনপথের পাঁচালী এবং তাহার পূর্বগ্রন্থ পথে পথে পুনর্বার প্রকাশিত হইতে চলিয়াছে সপ্তর্ষি প্রকাশন হইতে, সকল আলোকচিত্র এবং অঙ্কিত চিত্র-সহ। |
|
|
|
|
|