|
আপনার সাহায্যে ৩... |
|
ভুলভুলাইয়া ২ |
ডায়েট নিয়ে ভুলগুলো। লিখছেন ফিটনেস বিশেষজ্ঞ রণদীপ মৈত্র |
|
ভাল খাওয়া-দাওয়া হল, এ বার একটু মিষ্টিমুখ হয়ে যাক: একেবারে ভুল ধারণা। পেট ক্যালরিতে ভর্তি। তার ওপর মিষ্টি। তরল
ইনসুলিন বেরনো আরও বেড়ে যায়। মানে আরও চর্বি। অর্থাৎ ওজন বাড়া।
|
ভাত না হলে চলে না: শুক্তো দিয়ে ভাত। ডাল দিয়ে ভাত। তরকারি দিয়ে ভাত। মাছ দিয়ে ভাত। ভাত খাওয়া মানেই শরীরে গুচ্ছের স্টার্চ ঢোকা। স্টার্চ ফ্যাটের থেকেও ভয়ঙ্কর। ভাত কম খান। শাকসবজি বেশি। আর গোবিন্দভোগ বা সরু বাসমতী চাল যত এড়ানো যায়, ততই ভাল।
|
রেডি টু কুক খাবারটাই তো ভাল: একেবারে ভুল ধারণা। সুবিধেজনক কিন্তু গজগজ করছে ক্যালরি। তার থেকে বাঙালি সাবেকি রান্না — চচ্চড়ি, লাল শাক, লাউ, শিমএগুলো অনেক ভাল।
|
আমি তো একটু রাত করে খাই: আড্ডা-টাড্ডা মেরে রাতে বাড়ি ফেরা। তার পর সবাই মিলে ডিনার। খুব খারাপ অভ্যেস। যত রাত বাড়ে, আমাদের বিপাকের গতি কমে যায়। রাত করে খাওয়া মানেই শরীরে ক্যালরি জমা, যেগুলো কাজে না লেগে চর্বি হয়ে শরীরে জমে যায়।
|
ব্রেকফাস্টটা একটু দেরি করে খাই: অফিস বেরোই সকাল ন’টায়। তার আগে একটা হেভি ব্রেকফাস্ট করি। ভুল করেন। ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই শরীর খাবার চায়। দিনের প্রথম খাবারটা দেরি করে খাওয়া মানেই শরীরের বিপাকের প্রক্রিয়াকে ঝিমিয়ে দেওয়া। তাতে শেষ পর্যন্ত শরীরটাই ঝিমিয়ে পড়ে।
|
পাতে নুন: পাতে নুন খাওয়াটা এখনও অনেক বাঙালির অভ্যেস। কাঁচা নুনে কিন্তু ওবেসিটি, হাইপারটেনসনের মতো প্রচুর সমস্যা হতে পারে।
|
আড্ডায় চা-বিস্কুট-তেলেভাজা: চায়ের অনেক গুণ। কিন্তু বাঙালি তো চায়ে চিনি খায়। দিনে চার-পাঁচ কাপ চা মানে অত চামচ চিনি। চিনি শরীরে কী করে? ফালতু ক্যালরি বাড়ায়। আরও নানা ক্ষতি করে। আর বিস্কুট? ময়দায় বানানো। ময়দা শরীরের অপকারই করে। আর তেলেভাজা নিয়ে যত কম বলা যায়, ততই ভাল।
|
দুধ ব্যাপারটা সহ্য হয় না: বাঙালি রান্নায় এমনিতেই ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। অথচ, ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি। চিজ, দই, দুধ, পনির, এগুলো প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে রাখুন।
|
ফ্যাটটা এড়িয়ে চলি: শরীর ভাল রাখার জন্য কিছুটা ফ্যাট দরকারি। তবে ফ্যাটেরও উনিশ-বিশ আছে। যেমন মাছ, বাদাম। ভাল ফ্যাটের জোগান দেয়। ভাল ফ্যাট কোলেস্টেরল, গাঁটের ব্যথা কমায়। হার্টের ব্যামো আটকায়। |
|