স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল ছড়াল তুফানগঞ্জে। রবিবার শহরে ইলা দেবী গার্লস হাই স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট ঘিরে ওই ঘটনা ঘটেছে। বামেদের দখলে থাকা ওই স্কুল পরিচালন সমিতির অভিবভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য দুই শিবিরের সমর্থকরাই তাঁদের প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী কার্যালয় চালু করে। সিপিএমের একটি নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে একদল জনতার জমায়েত কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। তা নিয়ে বাদানুবাদ থেকেই দু’পক্ষের সমর্থকরা গোলমালে জড়িয়ে পড়েন। সেসময় সিপিএমের ওই নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর করে চেয়ার টেবিল গুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তমসের আলি বলেন, “তৃণমূল সমর্থকরাই পরিকল্পিত ভাবে আমাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা লোকজনদের ওপর ওই হামলা চালায়।” তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ ভাওয়ালের অভিযোগ, তাঁদের ৪ সমর্থককে হামলাকারীরা মারধর করে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দলের তুফানগঞ্জ-১ ব্লক সম্পাদক রতন দাস বলেন, “পুরানো ব্যক্তিগত আক্রোশে ওদের নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা লোকদের সঙ্গে কয়েকজন সাধারণ বাসিন্দার সামান্য ঝামেলা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন।” দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, সিপিএমের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই স্কুল নির্বাচনে ২ টি আসনে সিপিএম প্রার্থী দিতে না-পেরে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। পুলিশ জানায়, ওই স্কুল নির্বাচনের জন্য সিপিএমের জন্য কার্যালয় চালুর ব্যাপারে প্রশাসনিক অনুমতি ছিল না।
|
ট্রাকের ধাক্কায় এক সবজি ব্যবসায়ী-সহ দুজনের জখম হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার দুর্গাপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। রবিবার সকালে ওই ঘটনার পরে জখমদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার খরচ দেওয়ার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বেলা ১১ টা থেকে টানা দু’ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন মালদহগামী একটি মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ভ্যানরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা মারার পরে ডাম্পারের পেছনে ধাক্কা মেরে বিকল হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরে ট্রাকের চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হন ভ্যানরিকশার আরোহী স্থানীয় শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা মধু চাকী নামে ওই সবজি ব্যবসায়ী। ভ্যানরিকশার চালকের পরিচয় জানা যায়নি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই বাসিন্দারা জখমদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার খরচ দেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন। ইটাহার থানার ওসি গৌতম রায় জানান, ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। তার চালক ও খালাসির খোঁজে তল্লাশি চলছে। জখমদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
|
ফুঁসলে সহবাসের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন পরিবারের লোকেরা। রবিবার ইসলামপুর থানায় ওই যুবককে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুঁসলে সহবাসের ঘটনাটি ঘটে প্রায় বারো বছর আগে ইসলামপুরের জগতাগাঁও গ্রামে। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে রাজেন্দ্র সিংহ নামে ওই যুবক গ্রাম ছেড়ে পালায়। ইতিমধ্যে ওই তরুণী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বাপের বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ওই যুবকের মা মারা গেলে খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। সেই খবর পেয়ে গ্রামের লোকেরা যুবকের পরিবারের লোকেদের কাছে রাজেন্দ্রের আত্মসমর্পণের জন্য চাপ দেন। তার পরেই এদিন পরিবারের লোকেরা ওই যুবককে থানায় পৌঁছে দেন। অভিযুক্তের দাদা কেষ্টামোহন সিংহ বলেন, “পালিয়ে গিয়ে ভাই ভিন রাজ্যে বসবাস শুরু করেছে। সেখানে সে সংসারও পেতেছে। ভাইয়ের অপরাধের জন্য গ্রামের লোকেদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভাই গ্রামের ফিরতেই তাঁকে ডেকে পুলিশের হাতে তুলে দিই। আমরা চাই, ওই তরুণী তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাক। তাঁকে ভাতৃবধূ হিসাবে গ্রহণ করতে আপত্তি নেই।” পুলিশ জানিয়েছে, আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
বৃষ্টির জলে গা ভেজাতে উঠোনে নেমেছিল ১০ বছরের নাতনি। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দিদিমা। আচমকা বজ্রপাতে দিদিমা ও নাতনির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টা নাদাদ হবিবপুরের ঋষিপুর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণনগর গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। জখম পরিবারের আরও তিনজন। জখমদের বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃতদের নাম, বিমলা মন্ডল (৬০) ও পিঙ্কি মন্ডল (১০)। পিঙ্কি দিদিমার কাছে থাকত। জামাইষষ্টীতে কালিয়াচকের শ্রীনিবাসপুর থেকে বাবা পরেশ মন্ডল ও মা জয়ন্তী মন্ডল কৃষ্ণনগর গ্রামে শনিবার এসেছিলেন। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড দাবদাহের পরে এদিন দুপুরে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। প্রচন্ত গরমের পরে বৃষ্টি নামায় পিঙ্কি বাড়ির উঠানে বৃষ্টির জলে স্নান করতে থাকে। পাশে দিদিমা দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ বাজ পড়তে দিদিমা ও নাতনি লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। |