মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মধ্যপন্থা নিয়ে চলতে চান সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। যে কারণে মমতার সাফল্য ব্যাখ্যা ও সমালোচনাদুইই করছেন তিনি। সিদ্দিকুল্লার রাজনৈতিক দল পিডিসিআই রবিবার অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ)-এ মিশে গিয়েছে। এ দিন নতুন দলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান হয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “সরকার যদি বলে ১০০% কাজ হয়ে গিয়েছে, তা হলে তার সঙ্গে আমি সহমত নই। কেউ নিজের সাফল্য তো বলবেনই! জনগণ কী বিচার করছে, সেটাই আসল কথা। তবে সরকারের সাফল্য শুরু হয়েছে।” |
তাঁর মতে, পাঁচ বছরের জন্য একশো নম্বর থাকলে প্রথম বছরের জন্য থাকে ২০। তার মধ্যে মমতা-সরকারের প্রাপ্য ১০ বা ১২। সিদ্দিকুল্লার নতুন দল এআইইউডিএফ ‘একলা চলো’ নীতিতেই চলতে চায়। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করবেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ডাকলে সকলেই যাবেন। কিন্তু রাজনৈতিক জোট হবে কিনা, বলার সময় আসেনি। আমরা নিজেদের পা শক্ত করতে চাই। এখন একলা চলার নীতি।” রাজ্য সরকারের কাছে সিদ্দিকুল্লার প্রত্যাশানিরাপত্তা, সংখ্যালঘু সংরক্ষণ এবং যাবতীয় ঘোষণার বাস্তবায়ন। এআইইউডিএফের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল বলেন, “পত্রিকায় দেখছি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজ করার চেষ্টা করছে।” তবে পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মমতার রাস্তায় নামার কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “উনি কেন্দ্রীয় সরকারে থাকবেন আর পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে তাদের বিরুদ্ধে পথে হাঁটবেনএটা দ্বিচারিতা।” |