গতানুগতিকতার বাইরে বিচরণ করা হল লিটল ম্যাগাজিনের প্রকৃতি। জেলায় এই ধরনের ম্যাগাজিনের সংখ্যা বর্তমানে খুবই কম হলেও তবে সিউড়ি থেকে প্রকাশিত কবিতা ও কবিতা বিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘মথ’ একটু অন্য রকম। যেমন অমিতাভ চৌধুরীর -
‘যেখানে বিচ্ছেদ আমি সেইখানে নৌকা নিয়ে যাব।
আমি মাঝি নই, তবু কী করে যে নৌকাডুবি হয়
তা দেখতে এ জীবন দেব জলাঞ্জলি।’
আবার পলাশ দে’র কবিতায়
‘পলাশ নেবে গো পলাশ হো.....
পা কিনলে মাথা ফ্রি
আর মাথা কিনলে?
আরাম ব্যারাম ওস্তাদিয়া...’।
এ রকম আরও কয়েকটি কবিতা আছে। আর আছে সব্যসাচী রায়চৌধুরীর কবিতা বিষয়ক একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ। ওই প্রবন্ধটি সুখপাঠ্য এবং তথ্য বহুল বলে জানিয়েছেন পাঠকেরা। তবে ১১টি কাব্যগ্রন্থের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ‘খোলা হাওয়া’ বিভাগে মথ ওয়েবসাইট (www.mothpoetry.com) খুলেছে। সেখানে লেখা ছাড়াও নবীন চিত্রকরদের আঁকা ছবিও থাকছে। অন্য দিকে, জয়দেব কেঁদুলির টিকরবেতা গ্রাম থেকে প্রকাশিত ‘জয়দেব বার্তার’ কবি জয়দেব সংখ্যার লিটল ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদ অত্যন্ত সুন্দর। ভারতীয় ডাকবিভাগ কবি জয়দেবকে নিয়ে ১২টি রঙিন ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। সেই ১২টি ডাকটিকিট হুবহু ছাপা হয়েছে।
|
১৯৯০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েক লক্ষ শব্দ বন্দি করেছেন কবিতার আধারে। এখনও পর্যন্ত তাঁর একটিও কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ না হলেও রাজ্যের কবি এবং পঠাক মহলে পরিচিতি রয়েছে তৈমুর খানের। রামপুরহাটের পানিসাইল গ্রামের বাসিন্দা তৈমুর খান মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ‘দেশ’, ‘কৃত্তিবাস’, ‘পরিচয়’-সহ শতাধিক পত্রিকায় এখনও পর্যন্ত তাঁর প্রায় ৫ হাজার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৪ সালের নভেম্বরে ‘দেশ’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে‘আর একটু দাঁড়াও কালমার্কস/ কয়েক শতাব্দী আরো কেটে নিই ঘাস’...। ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকায় ২০০৮ সালে এপ্রিল-জুন সংখ্যায় প্রকাশিত ‘পর্দা সরছে নিষ্ফল হাতুড়ি/ পড়ছে ভাঙা পীঠে, দারুন চাতুরি...’।
|
সাহিত্য অনুষ্ঠান থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানতাঁকে দেখা যাবেই। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, চোখে চশমা, ছিপছিপে চেহারার মানুষটির নাম হরিপ্রসন্ন মিশ্র। বিষ্ণুপুরের যমুনা দাস খেমকা হাইস্কুলের এই ইংরেজি শিক্ষককে অনুষ্ঠান মঞ্চে সুললিত কণ্ঠের সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যায়। আবার কখনও মগ্ন শ্রোতা কিংবা কখনও বা সুবক্তা হিসেবে থাকেন।
তাঁর বাবা প্রয়াত চিকিৎসক ক্ষিরোদপ্রসাদ মিশ্র ছিলেন বিষ্ণুপুরের সংস্কৃতি ক্ষেত্রের পরিচিত মানুষ। কবিতা লিখতেন। ছোটবেলা থেকে হরিপ্রসন্নবাবু তাই সংস্কৃতিমুখী ছিলেন। বিষ্ণুপুরের সংস্কৃতি ও ইতিহাস চর্চা নিয়ে প্রচুর লেখালিখিও করেছেন। যুক্ত রয়েছেন বিষ্ণুপুরের কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংস্থার সঙ্গেও। রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সেবামূলক কাজেও তাঁকে দেখা যায়। বিনা পারিশ্রমিকে পাঠ দেন দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের। এখন তিনি ব্যস্ত বিষ্ণুপুর রাজবাড়ির কূলগুরু শ্রীনিবাস আচার্যকে নিয়ে গবেষণামূলক কাজে। বললেন, “শীঘ্রই এ নিয়ে একটি বই প্রকাশ করতে চলেছি।”
|
সম্প্রতি রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষ স্মরণে একটি অনুষ্ঠান হয়ে গেল বিষ্ণুপুর থানার মড়ার গ্রন্থাগারে। যোগ দিয়েছেন গ্রন্থাগারের সদস্যেরা ও স্থানীয় মানুষজন।
রঘুনাথপুর ১ ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প দফতরের উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের সার্ধ জন্ম শতবর্ষ পালন করল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। গত বুধবার রঘুনাথপুর শহরে পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে ওই অনুষ্ঠান হয়। রঘুনাথপুরের সিডিপিও অর্চনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির কর্মী ও পড়ুয়ারা ওই অনুষ্ঠানে নৃত্য গান পরিবেশন করেছে।
|
বিষ্ণুপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, যদুভট্ট মঞ্চ কমিটি এবং নজরুল চর্চা কেন্দ্র তিনটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুক্রবার কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উৎসব পালন করল। তথ্য দফতরের অনুষ্ঠানটি ছিল বিকেলে যদুভট্ট মঞ্চে। কে এম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাঘরে নজরুল চর্চা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান হয়। যদুভট্ট মঞ্চ কমিটিও বর্ণময় সন্ধ্যায় বিদ্রোহী কবির গানে, কবিতায় ভরিয়ে তোলে স্মরণের ডালি। তিনটি অনুষ্ঠানেই বড়দের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছিল কচিকাঁচারাও।
নজরুল জয়ন্তী পালিত হয়েছে রঘুনাথপুরের মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর ও রঘুনাথপুর পুরসভায়। রঘুনাথপুর আদালত চত্বরে কবির মূর্তিতে মাল্যদান করেন মহকুমাশাসক প্রণব বিশ্বাস, রঘুনাথপুর আদালতের সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) তমালি ঘোষ প্রমুখ। বাঁকুড়া জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরেও বিদ্রোহী কবির জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের উপসচিব কালীপদ সিংহ-সহ অনেকে।
|
আদ্রার রেলওয়ে বয়েজ হাইস্কুলের শতবর্ষ উপলক্ষে সম্প্রতি দু’দিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। ছিলেন আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার-সহ বিশিষ্ট জনেরা। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে। ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রাক্তণীরা স্মৃতিচারনা করেন। সত্যজিৎ রায়ের জীবন ও সৃষ্টির উপরে সংগৃহীত বিভিন্ন নথিপত্র, ছবি, লেখা নিয়ে একটি প্রদর্শনী ছিল।
|
ভাস্কর রামকিঙ্কর বেজের ১০২তম জন্মজয়ন্তীতে ‘বাঁকুড়ার চিত্রশিল্পী’ সমাজের শ্রদ্ধাঞ্জলী। |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্ম সার্ধশতবর্ষ এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন পালন অনুষ্ঠান হল নিতুড়িয়ার ভামুরিয়া গ্রামে। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ভামুরিয়া যুব কল্যাণ সমিতি। |