|
|
|
|
বেলপাহাড়ির খুনে গ্রেফতার আরও ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বেলপাহাড়িতে তৃণমূল কর্মীর ছেলেকে খুনের ঘটনায় ঝাড়খণ্ড পার্টির প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়ার বারিকুল লাগোয়া বড়শোল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক তৃণমূল কর্মী সুধীর সাহাকে না পেয়ে তাঁর ছেলে শ্যামলকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। লুকিয়ে প্রাণ বাঁচান সুধীরবাবু। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার সকালেই বড়শোল গ্রামের সিপিএম সমর্থক পেশায় ডাককর্মী হরেন্দ্রনাথ মুর্মু ও পাশের ভুলাভেদা এলাকার টংভেদা গ্রামের ঝাড়খণ্ডী কর্মী বিক্রম টুডুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার রাতে স্থানীয় নিশ্চিন্তিপুরের ঝাড়খণ্ডী-কর্মী তারণ মর্দ্দন্যা ও ভেলাইডিহার বাসিন্দা ঝাড়খণ্ড পার্টির প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য মৃত্যুঞ্জয় ঘোষালকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ৪ অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় ৪ জনকেই ৫দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত বড়শোল গ্রামের ঝাড়খণ্ডি-সমর্থক সেনাপতি মুর্মুকে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ, সোমবার তাঁকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হবে। শনিবার শ্যামলবাবুর মা বেলারানিদেবী মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে বেলপাহাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই খুনে সিপিএম-মাওবাদী-ঝাড়খণ্ডী জোটে’র বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’ ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ঝাড়খণ্ড পার্টির নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার পাল্টা অভিযোগ, “ অভিযুক্ত ২২ জনের মধ্যে বেশির ভাগই আমাদের লোক। পরিকল্পিত ভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওই খুনে জড়ানো হয়েছে।” চুনিবালার দাবি, এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন নেই। তাই ওরা প্রাক্তন বামপন্থী কিছু লোকজনকে নিয়ে সন্ত্রাস-রাজ কায়েম করে এলাকা-দখল করতে চাইছে। সিপিএমের বেলপাহাড়ি জোনাল-সম্পাদক উদ্ধব মাহাতোরও বক্তব্য, “একটি পরিবারের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও তার জেরে হত্যার ঘটনাটি নিয়ে তৃণমূল ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।” জেলা তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষের নেতৃত্বে এ দিন বড়শোল গ্রামে তৃণমূলের ‘শোক-মিছিল’ করা হয়। নির্মলবাবু অবশ্য চুনিবালার অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে চান নি। তিনি বলেন, “সিপিএমের হাত থেকে এলাকাকে ‘সন্ত্রাস-মুক্ত’ করতে আমরা রাজনৈতিক-কর্মসূচি চালিয়ে যাব।” |
|
|
|
|
|