|
|
|
|
ধৃত ‘স্কোয়াড নেতা’ |
বেলপাহাড়িতে গুলি ‘প্রাক্তন মাওবাদী’কে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হলেন এক ‘প্রাক্তন মাওবাদী’। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ বেলপাহাড়ির কাশমাড় গ্রামে ফরেন সিংহ সর্দার নামে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু লোক। তাঁকে প্রথমে বেলপাহাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। রাতে সরানো হয় ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এক সময় মাওবাদী ‘নাশকতা’য় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন ফরেন। পরে জামিন পান। কে বা কারা, কী কারণে তাঁর উপরে হামলা চালাল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্য দিকে, লালগড়ের ঝাটিয়াড়া গ্রামের বাড়ি থেকে এক শনিবার সন্ধ্যায় ‘মাওবাদী স্কোয়াড-নেতা’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর দাবি, “ধৃত প্রধান হেমব্রম ওরফে তোতা মাওবাদী নেতা বিকাশের স্কোয়াড-সদস্য ছিলেন। সিদো সরেনের মৃত্যুর পরে তাঁকে ‘সিদো-কানহু গণমিলিশিয়া’র দায়িত্ব দেওয়া হয়।” রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন ও অস্ত্র লুঠের ৪টি মামলায় অভিযুক্ত করে রবিবার তোতাকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। অভিযুক্তের আইনজীবী কৌশিক সিংহের দাবি, “তোতাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।” বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় ধৃতের ৫ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, আগে ঝাড়খণ্ডী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বছর তিনেক আগে মাওবাদী-সংগঠনে যোগ দেন বছর সাতাশের তোতা। কিষেণজির ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অল্প সময়েই তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান।
২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে হামলায় মাওবাদী নেতা সুষেণ মাহাতো মারা গেলে সুষেণের স্কোয়াডটির দায়িত্ব পান তোতা। ওই বছর জুলাইয়ে জনগণের কমিটির নেতা সিদো সরেন মারা গেলে ‘সিদো কানহু গণ-মিলিশিয়া’র দায়িত্বও বর্তায় তাঁর উপরে। তোতার সম্পর্কিত দাদা লসো হেমব্রমও রাষ্ট্রদ্রোহিতা, খুন, হামলা-নাশকতার ৪২টি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গত অক্টোবরে ধৃত হন। জামিনে মুক্ত হয়ে লসো এখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|