সপ্তাহখানেক আগে দমদমের সিঁথি এলাকায় এক রাতে একই আবাসনের তিনটি ফ্ল্যাটে চুরি হয়। তার কিনারা হওয়ার আগেই ফের দমদমেরই একটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটল। অভিযোগ, শনিবার রাতে মতিঝিল অ্যাভিনিউয়ের ওই দোকানে ভল্ট ভেঙে দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না চুরি করে। দোকান-মালিক সুশীল রায় দমদম থানায় অভিযোগে জানান, কেজি দুয়েক সোনার গয়না চুরি গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার প্রথমে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের নজরে আসে ওই সোনার দোকানের তালা ভাঙা। তাঁরাই দোকান-মালিককে খবর দেন। ঘটনাস্থলে যান সুশীলবাবু ও তাঁর ছেলে সমর। তাঁরা দেখেন, শাটারের সব তালা ভাঙা। দোকানের ভিতর লন্ডভন্ড। ভল্টের তালাও ভাঙা, সব সোনার গয়না উধাও। সুশীলবাবুরা জানান, দোকানের মোট সাতটি তালা ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। তার মধ্যে তিনটি মেলে দোকানের ভিতরেই। দোকানে কিছু খাবারের টুকরোও পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাই পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সেখানে বসে খাওয়াদাওয়াও করেছে। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা ওই দোকানে তদন্তের জন্য আসেন।
মতিঝিলে সোনাপট্টি নামে পরিচিত ওই এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি সোনার দোকান রয়েছে। যে দোকানটিতে চুরি হয়, সেটিও ওই এলাকাতেই। এই ঘটনার পরে এলাকার বিভিন্ন দোকানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ‘নাগেরবাজার জুয়েলার্স ওনার্স ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম রায় বলেন, “২০১১ সালের ১৭ অগস্ট এই এলাকাতেই একটা সোনার দোকানে চুরি হয়। তার কোনও কিনারা হয়নি। আবার চুরির ঘটনা ঘটল। আমরা কোন ভরসায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরব?”
এলাকার স্বর্ণব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাতে বাড়ি যাওয়ার সময়ে দোকানে আট-দশটা করে তালা দিয়েও চুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। পুলিশের টহলদারি জিপেরও এলাকায় দেখা মেলে না। যদিও ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এলাকায় পুলিশি টহলদারি বেড়েছে। তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু সূত্র ধরে তদন্ত এগোচ্ছে। কমিশনারেট হওয়ার পরে দমদম এলাকায় পুলিশের টহলদারি বেড়েছে। পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে, এই এলাকায় অপরাধ আগের চেয়ে কমেছে।” |