|
|
|
|
সংস্কার থমকে যাওয়ার কথা কবুল প্রণবের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অর্থনীতির চাকাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে আর্থিক সংস্কারেই আবার বেশি করে মন দিতে চায় কেন্দ্র।
দেশের বর্তমান আর্থিক সঙ্কটের অন্যতম কারণ যে মাঝপথে থমকে যাওয়া সংস্কার, সে কথা রবিবার কার্যত মেনে নেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। এ দিন কলকাতায় গ্লোবাল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটি অ্যান্ড
ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারডিপেন্ডেন্স’ শীর্ষক সভায় তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনাতেই
ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা ভাল। তবে বিশ্বের টালমাটাল পরিস্থিতি যে তাতে ছাপ ফেলেছে তা নিয়ে সংশয় নেই। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আরও বেশি করে সংস্কারের পথেই হাঁটতে চাইছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, অর্থনীতির
|
শহরে প্রণব
মুখোপাধ্যায়।-নিজস্ব চিত্র |
ভিত আরও মজবুত করতে আয়কর-সহ প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১২ শতাংশে নিয়ে যাওয়াই কেন্দ্রের লক্ষ্য। এ দিনই কলকাতা এলাকার ‘আয়কর সেবা কেন্দ্র’ উদ্বোধন করতে এসে এ কথা জানান প্রণববাবু। তিনি বলেন, ২০১২-’১৩-এ ৫ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা প্রত্যক্ষ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। গত বছরের আদায় ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার কোটি টাকা।
প্রকৃতপক্ষে আর্থিক সংস্কারের গতি বাড়াতে তার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। যার মধ্যে আছে দ্রুত পণ্য-পরিষেবা কর চালু করা, ব্যাঙ্কিং, বিমা এবং পেনশন-সহ আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্কার। জোর দেওয়া হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দেওয়ার উপরেও। বহু ব্র্যান্ডের পণ্যের খুচরো ব্যবসা যার অন্যতম। তবে কেন্দ্র যে বল্গাহীন সংস্কারের পথে এগোবে না, তা-ও জানান অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “২০০৮-এর বিশ্ব জোড়া মন্দা এবং তার পরের তিন-চার বছরে এ কথা স্পষ্ট যে, আর্থিক ক্ষেত্রের উপর
কড়া নজরদারি না-থাকলে ডুবতে পারে যে কোনও দেশের অর্থনীতি।”
প্রণববাবু এ দিন বলেন, “কলকাতা ছাড়াও ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর এবং চুঁচুড়াতেও আয়কর সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শীঘ্রই জলপাইগুড়িতে কেন্দ্র খোলা হবে।” কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান লক্ষ্মণদাস জানান, এখানে চালু হওয়া এক-জানালা ব্যবস্থায় একই কেন্দ্রে রিটার্ন জমা, তা প্রক্রিয়াকরণ-সহ সব পরিষেবা মিলবে।” রিটার্ন বা অন্য নথি জমা দিলে আয়করদাতাকে ‘ইউনিক অ্যাকনলেজমেন্ট নাম্বার’ দেওয়া হবে। তা উল্লেখ করেই পরে রিফান্ড-সহ নানা ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে পারবেন আয়করদাতা। |
|
|
|
|
|