বাজ পড়ে সাত জনের মৃত্যু হল জেলার নানা এলাকায়। রবিবার বিকেলে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে এই সব ঘটনা ঘটে।
মন্তেশ্বরের ভাগরা গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে বাবা-ছেলের। কাটোয়ার গোয়ালপাড়া, মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম ও কাঁটারিয়ায় মৃত্যু হয়েছে আরও তিন জনের। বাজ পড়ে আহত হয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট ছ’জন।
পুলিশ জানায়, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ ভাগরা গ্রামে একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন বাবুল শাহ (৪০) ও তাঁর ছেলে তৌশিক শাহ (১৫)। সেই সময়ে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। পুকুরপাড়েই বাজ পড়ে জখম হন বাবা-ছেলে। মন্তেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁদের মৃত্যু হয়। বাবুলবাবু পেশায় কৃষক। তৌশিক ভাগরা হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পরে সোনা-রুপোর কাজ করতে মুম্বই গিয়েছিল। সম্প্রতি সেখান থেকে ফিরেছিল সে।
ঝড়বৃষ্টির সময়ে বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন কাটোয়ার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ কুণ্ডু (২৪)। ঘরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। সেই সময়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানায়, মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামের পূর্বমাঠে তিল গাছের পরিচর্যা করছিলেন জনা পাঁচেক। বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুপথ সাঁতরার (৩২)। আহত হন নিমাই সাঁতরা, কার্তিক সাঁতরা, কমর চেয়ার ও বাপন শেখ। ঝড়-বৃষ্টির সময়ে বাড়িতেই ছিলেন কাটোয়ার কাঁটারিয়া গ্রামের ঝন্টু দাস (৪১)। বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁরও। বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে বর্ধমানের মাহিনগরের তারাপদ মাঝি (১৭) ও সন্তোষপুরের শেখ মোকসেদ আলিরও (৩৫)। |