|
|
|
|
তৃণমূলের নয়া মুখপত্রের ‘আত্মপ্রকাশ’ মহাকরণেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তৃণমূলের নতুন ইংরেজি মুখপত্রের ‘আনুষ্ঠানিক প্রকাশ’ হল মহাকরণে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সোমবার ওই পত্রিকার প্রথম কপিটি তুলে দেন সেটির সম্পাদক ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছিলেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তার পর ডেরেকরা প্রেস কর্নারে গিয়ে মুখপত্রটি সংবাদমাধ্যমকেও দেখান। যা নিয়ে বিতর্ক বেধেছে।
রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতরে এ ভাবে দলীয় মুখপত্র ‘প্রকাশ’ করা হল কেন, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এর আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই বলেছিলেন, মহাকরণ রাজনীতির জায়গা নয়। সেখানে শুধু প্রশাসনিক কাজকর্মই হবে। যদিও সাংসদ ডেরেকের দাবি, “আমরা দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখপত্রের প্রথম কপি তুলে দিতে গিয়েছিলাম। বাইরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখিয়েছি। আমরা মুখপত্রের প্রকাশ অনুষ্ঠান মহাকরণে করিনি।
এ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা চলছে।”
মুখপত্রের ‘আনুষ্ঠানিক প্রকাশ’ মহাকরণে হয়নি বলে ডেরেকরা ব্যাখ্যা দিলেও সেখানে এ দিন যা ঘটেছে, তা ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড’ই। যা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর ঘোষণার সঙ্গে মেলে না। যে জন্য বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, “ওঁদের দলীয় সদর দফতর কাজ করছে না। তাই মহাকরণেই দলের সদর দফতর তুলে এনেছেন!” বিরোধীদের বক্তব্য, দলতন্ত্র তুলে দেওয়া হবে ঘোষণা করে তৃণমূল নেত্রী ক্ষমতায় এসেছিলেন। এখনও বারেবারেই বলেন, দলতন্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। সূর্যবাবুর মন্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কেমন পালিত হচ্ছে, দেখাই যাচ্ছে!” |
|
মহাকরণে মুকুল রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, অমিত মিত্র। ছবি: রাজীব বসু |
মহাকরণে এ দিন নতুন পত্রিকার বিষয়ে রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুলবাবু বলেন, “ভবিষ্যতে তৃণমূল কী কী জনমুখী পদক্ষেপ করবে, তার সুস্পষ্ট ধারণা ভিন্ রাজ্যে এবং দেশের বাইরের মানুষকে জানাতে এই উদ্যোগ।” অর্থমন্ত্রী অমিতবাবুর কথায়, “তৃণমূলের রাজনৈতিক, অর্থনেতিক, সামাজিক বক্তব্য নিয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন হয়েছে। আমেরিকা, ইংল্যান্ড থেকে অনেকে তৃণমূলের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। তাঁদের কাছে আমাদের বক্তব্য পৌঁছে দিতেই ইংরেজিতে পত্রিকা প্রকাশ করা হল।”
পত্রিকাটির প্রথম সংষ্করণে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। রয়েছে মুকুলবাবু, অমিতবাবু, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায়, সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের লেখাও। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘তৃণমূলের নীতি, উদ্যোগের কথা এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। গণতন্ত্র এবং সংবাদমাধ্যমের উপরে তৃণমূলের
গভীর আস্থা রয়েছে’।
রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের মুখপত্র আছে। নতুন এই পত্রিকার তাই বাংলা সংষ্করণ প্রকাশিত হবে না। আপাতত মাসিক এই পত্রিকা বিনামূল্যে নয়াদিল্লি-সহ দেশের অন্যান্য শহর এবং বিদেশেও পাঠানো হবে। ভারতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসেও পৌঁছে দেওয়া হবে।” ডেরেক আরও জানান, প্রথম সংষ্করণটি ১৬ পাতার হলেও ভবিষ্যতে পৃষ্ঠাসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। |
|
|
|
|
|