স্থানীয় পশু চিকিৎসককে দিয়ে ময়না তদন্তের পরে রবিবার রাতেই ট্রেনে কাটা পড়া হাতিকে পুড়িয়ে দিল বনদফতর। বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “সকাল পর্যন্ত মৃত হাতিকে রেখে দিলে মানুষের ভিড় সামলানো যেত না এবং অন্য সঙ্গী দাঁতালদেরও ভয় ছিল। তাই রাতেই ঘটনাস্থলের পাশের জঙ্গলে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়া থেকে হাওড়াগামী রুপসী বাংলা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ও পিয়ারডোবা স্টেশনের মাঝে নামোধবনি গ্রামে মৃত্যু হয় ওই পুর্ণবয়স্ক দাঁতালের। ঘটনার পরই বন ও রেল দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দায় এড়াতেই তড়িঘড়ি রাতের অন্ধকারেই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে হাতিটিকে। ডিএফও (বিষ্ণুপুর) বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “ক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক। হাতির মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। ওই জায়গায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলানোর জন্য আমরা রেলকে আগেও চিঠি লিখেছি, ফের আবেদন জানানো হবে।”
|
ফের চোরাশিকারিদের হাতে খুন হল একটি বাঘ। মহারাষ্ট্রের তাডোবা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পে ঘটনাটি ঘটেছে। দিন দু’য়েক আগে বাঘটির দেহের কয়েকটা টুকরো উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। পরীক্ষা করে দেখা যায়, বাঘটির দেহের ১১টি টুকরো করা হয়েছে। তবে তার মাথা ও থাবা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বনকর্মীদের ধারণা, ওই টুকরোগুলো নিয়ে গিয়েছে চোরাশিকারিরা। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, সম্ভবত গুলি করে মারা হয়েছে বাঘটিকে। তবে দেহে পোড়া দাগ থাকায় বাঘটিকে তড়িদাহত করে মেরে ফেলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না ওই ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে সতর্কতা জারি হয়েছে। চোরাশিকারিদের বিষয়ে কেউ খবর দিলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। এর দু’সপ্তাহ আগেই ওই ব্যাঘ্র প্রকল্পে চোরাশিকারিদের পাতা একটি ফাঁদ থেকে দু’টি বাঘকে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে এদের মধ্যে একটি বাঘ মারা যায়।
|
ফের গন্ডার খুন, বরখাস্ত ঘুমন্ত বনরক্ষী |
চোরাশিকারির দল গন্ডারকে ঘিরে ফেলে গুলি চালাল। ছটফট করে মারা গেল গন্ডারটি। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে করাত দিয়ে কাটা হল সেই গন্ডারের খড়্গ। শনিবার রাতে ওরাং জাতীয় উদ্যানে পিছলা বন শিবিরের প্রায় গায়েই যখন এই কাণ্ড চলছে তখন মাত্র ৩০০ মিটার দূরে ছিলেন বনশিবিরের প্রহরীরা। কিন্তু ঘুমের ঘোরে তাঁরা কিছুই টের পাননি। কর্তব্যে অবহেলার দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে ওই রাতে ডিউটিতে থাকা বনরক্ষী অনন্ত দেববর্মাকে। ডিএফও সুশীল দায়লা জানান, শনিবার মাঝ রাতে চোরাশিকারিরা চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে মারে একটি স্ত্রী গন্ডারকে। তারপর মৃত গন্ডারের খড়্গটি করাত দিয়ে কেটে নেয়। ঘুমে অচেতন থাকায় কিছুই টের পাননি রক্ষী অনন্ত দেবশর্মা ও তাঁর সঙ্গী।
|
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু মিনাখাঁয় |
সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মিনাখাঁর মোহনপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম নমিতা মণ্ডল (২৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মাঠে কাজে গিয়েছিলেন নমিতাদেবী। ঘাস বাছার সময়ে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে তাঁকে ছোবল মারে। ঘটনার পর পরিজনেরা পাশের গ্রামের ওঝা-গুনিনের কাছে নিয়ে যান। দুপুরে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
|
ঘুমন্ত শিশুকে নিয়ে গেল চিতাবাঘ |
ঘুমের মধ্যেই চিতাবাঘের গ্রাসে পরিণত হল চার বছরের ময়ঙ্ক। রবিবার রাতে পৌরি গাড়োয়াল জেলার নৌখণ্ডি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। রাতে বাবা রাকেশের সঙ্গে শুয়ে ঘুমোচ্ছিল সে। গরমের জন্য ঘরের দরজা খোলা ছিল। সেই খোলা দরজা দিয়ে ঢুকেই ময়ঙ্ককে নিয়ে যায় চিতাবাঘটি। প্রায় দু’ঘণ্টা খোঁজাখুজি করার পর জঙ্গল থেকে তার আধ-খাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। বন দফতরের অফিসারেরা জানিয়েছেন, চিতাবাঘটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
|
বিষ্ণুপুরের ভালুকা গ্রাম থেকে সোমবার দু’টি গো সাপ উদ্ধার করল বনদফতর। তার মধ্যে একটি মৃত। বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “হাওড়ার বাগনান থেকে সাপ দু’টিকে বাসিন্দারা শিকার করে এনেছিলেন।” |