|
|
|
|
প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ফাঁক গলে পরিবেশ ধ্বংসের আশঙ্কা |
গাছ বাঁচাতে মিছিল বনগাঁয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
দুর্ঘটনা এড়াতে বনগাঁ মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যশোহর রোডের দু’ধারে থাকা মরা গাছ ও শুকনো ডালপালা কেটে ফেলা হবে। এ জন্য মরা গাছ ও শুকনো ডালপালা চিহ্নিত করতে সমীক্ষার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এখানেই বিপদের আশঙ্কা করছেন বনগাঁর পরিবেশপ্রমী মানুষজন। তাঁদের আশঙ্কা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফাঁক গলে মরা গাছ ও শুকনো ডালপালার পাশপাশি অনেক সাধারণ গাছ কেটে ফেলা হবে। এই আশঙ্কা জানিয়ে এবং প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার বার্তা দিতে সোমবার বনগাঁ ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলে অংশ নেন শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক থেকে রাজনৈতিক নেতা সকলে। বনগাঁ ল’ ইয়ার্স আসোসিয়েশনের বক্তব্য, মরা গাছ ও শুকনো ডালপালা কাটার পাশাপাশি যাতে ভাল গাছও কেটে ফেলা না হয় সে জন্যই তাঁদের এই মিছিল।
এ দিন স্থানীয় রাখালদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে শেষ হয় বনগাঁ মহকুমা আদালত চত্বরে। মিছিল শেষে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ করা হয়। আইনজীবীদের বক্তব্য, যশোহর রোডের দু’ধারে মরা গাছ ও শুকনো ডালপালা কাটার জন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে রুগণ গাছ চিহ্নিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন তাতে অনেক ভাল গাছও কেটে ফেলা হবে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। |
|
— নিজস্ব চিত্র। |
ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাস বলেন, “আমাদের আশঙ্কা ওই প্রক্রিয়ায় অনেক ভাল গাছকেও রুগণ ঘোষণা করে তা কেটে ফেলা হবে। যশোহর রোডের দু’ধারের গাছগুলি মহকুমার মানুষের কাছে ঐতিহ্য এবং গর্ব। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনও অজুহাতে যাতে তা কাটা না হয় তারই বিরোধিতা করা হচ্ছে এবং হবে।” এ দিন মিছিলে যোগদানকারী বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন, “বিপজ্জনক শব্দ ব্যবহার করে এমন যন্ত্র দিয়ে কোনও সজীব গাছ বা ডালপালা কাটতে দেওয়া হবে না। কেবসমাত্র মরা গাছ ও শুকনো ডালপালা কাটা যেতে পারে। সেই সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ করে গাছ চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে গাছচোরদের কাটা একটি ডাল চলন্ত অটোর উপরে পড়লে চার জন মহিলার মৃত্যু হয়।এর পরেই গাছের রক্ষণাবে৭ণের দায়িত্ব কার তা নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়।
মরা গাছ ও শরনো ডালপালা কাটার প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশ, পঞ্চায়েত সমিতি, বন দফতর এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সমীক্ষার কাজ শুরু করছে। তবে সজীব গাছ যাতে কাটা না পড়ে সে দিকে কনা নজর দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|