অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাওয়া করিমপুরের চেনা ছবি। গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে থানা কিংবা বাসস্ট্যান্ডের মতো জায়গাতেও একটু বৃষ্টি হলেই জল থইথই।
এ বার বদলাবে করিমপুর। আশা যোগাচ্ছে পঞ্চায়েত। মানুষের হয়রানি ঠেকাতে এ বার করিমপুরের নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে করিমপুর-১ পঞ্চায়েত। বর্ষা নামার আগেই তাই শুরু হয়েছে শহরের হাল ফেরানোর উদ্যোগ। মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ রোজগার যোজনার টাকায় ইতিমধ্যেই শুরুও হয়ে গিয়েছে কাজ।
করিমপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের তারক সরখেল বলেন, ‘‘গত বছরে এই কাজের জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে প্রাথমিক ভাবে ২৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকায় ডিসেম্বর মাস থেকেই কাজ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রামকৃষ্ণপল্লি, নতুনপল্লি, মণ্ডলপাড়া, বাসস্ট্যান্ড এলাকা ও জগজ্জননী মন্দির রোডের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কার করা হয়ে গিয়েছে। |
ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু রাস্তা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা। ফলে বৃষ্টি হলেও আর জল জমবে না। গত আর্থিক বছরের বকেয়া টাকা, নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কার ও অন্যান্য বেশ কিছু কাজের জন্য আমরা ৭০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৭০ টাকা পেয়েছি। সেই টাকা দিয়েই খুব শীঘ্রই অন্য এলাকাগুলোতেও আমরা নিকাশি সমস্যার সমাধান করব। বর্ষার আগেই আশা করি করিমপুরে জল জমার সমস্যা আর থাকবে না।’’
পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীরাও। তাঁদের আশা প্রতিবারের মতো এ বার অন্তত বর্ষা নামলে সমস্যায় পড়তে হবে না। বাসস্ট্যান্ড চত্বর ঢালাই হয়ে যাওয়ায় জল সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে বলে আশা করছেন বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া হকার-ব্যবসায়ীরাও। এক ব্যবসায়ী শান্তনু বিশ্বাস জানালেন, “প্রতি বছর বর্ষায় বাসস্ট্যান্ডে জল জমে। নোংরা জল ঠেঙিয়ে কে আসবে দোকানে? বেচাকেনা একরকম লাটে উঠত। এ বার আর সমস্যা থাকবে না ভেবে ভালো লাগছে।” |