রবীন্দ্রনাথের ১৫২তম জন্মদিন সাড়ম্বরে পালিত হল। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলার দানবীর মহরাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর ১৫৩ জন্মদিন প্রায় সমাগত। কিন্তু নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে মহারাজার জন্মদিন নিয়ে। মহারাজার জীবনীকার সাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র’ গ্রন্থের ৬৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, মহারাজা ‘১২৬৭ সালের ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ইংরাজি ১৮৬০ সালের ২৯ মে, মঙ্গলবার দশহরার দিনে অপরাহ্ন ৫টা ১৪ মিনিটের সময়’ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখায় প্রথমেই যে ত্রুটিটি ধরা পড়ে তা হল, জ্যৈষ্ঠ মাসের ২৮ তারিখটি মূলত জুন মাসের মধ্যে পড়ে, মে মাসে নয়। মহারাজার পৌত্র মহারাজকুমার সোমেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর মতে, কোষ্ঠী অনুসারে প্রকৃত বাংলা তারিখটি হল ১৮ জ্যৈষ্ঠ এবং ইংরাজি তারিখ ২৯ মে। কিন্তু এখানেই সমস্যার শেষ নয়। কলকাতার জাতীয় গ্রন্থগারে ১৫২ বছরের ‘পুরাতন পঞ্জিকা’ দেখার ফলে কিছু নতুন তথ্য পেলাম। ওই পঞ্জিকার ৬৪২ পৃষ্ঠায় মূদ্রিত রয়েছে ‘১৮ জ্যৈষ্ঠ, ইংরাজি ৩০ মে, বুধবার, দশমী’। সেই সঙ্গে লেখা রয়েছে, ‘দশহরা গঙ্গা ও মনসা পূজা’। সমালোচকরা দিনের আরম্ভ বিষয়ে ইংরাজি ও বাংলা নিয়মের মতান্তরের বিষয়টি ভাবতে পারেন। উদাহরণ দেওয়া যাকরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাত্রি ২টা ২৮ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই বাংলা মতে তাঁর জন্মবার সোমবার, কিন্তু ইংরেজি মতে মঙ্গলবার। কারণ, বাংলা মতে সূর্যোদয়ের পর ও ইংরেজি মতে রাত ১২টার পরে দিনের আরম্ভ বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু মহারাজা যেহেতু বিকালবেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁর ক্ষেত্রে এই বারসমস্যা প্রযোজ্য নয়। এখন জানতে ইচ্ছা করে যে, মহারাজার জীবদ্দশায় কোন দিনে তাঁর জন্মদিন পালিত হত? এ’টি জানার সম্ভবত কোনও উপায় নেই। কারণ, মহারাজার মৃত্যুর পর আজ প্রায় ৮৩ বছর কেটে গিয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর পৌত্র সোমেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর বয়স ছিল এক বছর দুই মাস সাত দিন। ফলে এ বিষয়ে তাঁর বিশেষ কোনও স্মৃতি থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু পৌত্রী রাজকুমারী অণিমাপ্রভা পাল (বিয়ের পরের উপাধি)-এর বয়স ছিল প্রায় ৯ বছর চার মাস। বর্তমানে রাজকুমারী প্রয়াত। কিন্তু ৫-৬ বছর আগে তাঁর কাছে গিয়ে জানতে পারি যে, দশহরা গঙ্গাপুজোর দিনেই মহরাজার জন্মদিন পালন করা হত। স্বাভাবিক ভাবেই নির্দিষ্ট তারিখটি তাঁর পক্ষে বলা সম্ভব হয়নি। যাই হোক পঞ্জিকা অনুসারে ১৮৬০ সালে দশহরা গঙ্গাপুজোর দিনটি ছিল ৩০ মে। তাহলে এখন কি শহরে মহারাজার মূর্তি বা স্মৃতিফলকে পরিবেশিত তথ্যগত ত্রুটির সংশোধন প্রয়াসী হবেন শহরবাসী? এ বছর দশহরা গঙ্গাপুজোর ইংরেজি তারিখটি হয়েছে ৩০ মে, কিন্তু বাংলা তারিখটি হয়েছে ১৬ জ্যৈষ্ঠ।
সায়ন্তন মজুমদার, বহরমপুর
|
করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালটি আমাদের পাড়া সংলগ্ন। ওই হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তায় বেশ কিছু হ্যালোজেন লাইট লাগানো ছিল। কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে তা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে রাতের বেলায় হাসপাতালে যাতায়াত করা খুব অসুবিধা। সাংসদ, বিধায়ক ও জেলাশসাক-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, ওই লাইটগুলি দ্রুত মেরামত করে, বা বাতিল লাইট গুলি ফেলে দিয়ে নতুন লাইট লাগিয়ে হাসপাতালে যাতায়াতের মতো জরুরি রাস্তাটি আলোকিত করা হোক।
মিঠুন মুখোপাধ্যায়, করিমপুর
|
সরকারি চাকরিতে এসসি, এসটি এবং ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু ত্রিস্তর পঞ্চায়েত, বিধানসভা, বা লোকসভা নিবার্চনে ওবিসি-দের জন্য কোনও আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। কিন্তু চাকরি ক্ষেত্রে এ ক্ষেত্রেও ওবিসি’র আসন সংরক্ষণ থাকা উচিৎ। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে সেই ব্যবস্থা হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ জানাই।
সুমন্ত দেবনাথ, বীরনগর |