টুকরো খবর
সাপ নিয়ে কর্মশালা স্কুলে
কর্মশালায় দেখানো হচ্ছে সাপ। সোমবার আরামবাগে ছবিটি তুলেছেন মোহন দাস।
সাপ নিয়ে কুসংস্কার কাটাতে সোমবার সকালে আরামবাগের তিরোল হাইস্কুল ইকো ক্লাবের উদ্যোগে একটি কর্মশালা হয়ে গেল। হরিপালের একটি প্রকৃতিপ্রেমী সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে দেখানো হয় সাপদের আচার-ব্যবহার। বিষধর সাপ এবং বিষহীন সাপের দংশনের ক্ষতচিহ্নের প্রভেদ। ওঝার কাছে নয়, সর্পদষ্টকে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রচার চালানো হয়। হরিপালের সংস্থাটি চারটি বিষধর সাপ নিয়ে এসেছিল। সুন্দরবনের নানা প্রজাতির সাপ নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়। এ দিনের কর্মশালায় অভিভাবকদেরও ডাকা হয়েছিল।স্কুলের ইকো-ক্লাবের পক্ষে শিক্ষক গোপালচন্দ্র আটা বলেন, “তিরোল এলাকায় সর্পদষ্টকে দেবদেবী বা ওঝা-গুনিনের কাছে নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এই কুসংস্কার কাটাতেই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন।”

পরমাণু বোমার মতোই ক্ষতিকর প্লাস্টিক: কোর্ট
প্লাস্টিকের ব্যবহার না কমালে তার পরিণাম পরমাণু বোমার মতোই বিপজ্জনক হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানির সময়েই এই মন্তব্য করেন বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভি। সেই সঙ্গে প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে কেন্দ্র ও প্লাস্টিক ব্যাগ নির্মাতা সংস্থাগুলো কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানানোর জন্য নোটিস জারি করেছে শীর্ষ আদালত। প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে টিভি, কাগজ, রেডিও-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনেক প্রচার হয়েছে। ৪০ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে। এর আইনও তৈরি হয়েছে। তবে এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়েনি তা আমাদের চারপাশে তাকালেই চোখে পড়ে বলে জানান সিঙ্ঘভি। পরিবেশে, প্রাণীর চরম ক্ষতি করে প্লাস্টিক। অথচ প্রতি দিন গড়ে ১০০ কোটির মতো প্লাস্টিকের জলের বোতল তৈরি হয়। প্লাস্টিকের বদলে পুনর্ব্যবহারযোগ্য অন্য কিছু ব্যবহার করার উপর জোর দেন সিঙ্ঘভি। সেই সঙ্গে যত দিন না প্লাস্টিক তৈরি পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে, তত দিন প্লাস্টিক নির্মাতা সংস্থাগুলোকেই ওই ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ করে তাকে আবার ব্যবহারের যোগ্য করে বাজারে ছাড়া উচিত বলেও জানান তিনি।

গাছ কাটার নালিশ, ধৃত সরকারি কর্মী
পঞ্চায়েত সমিতির গাছ কেটে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে এক সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভগবানপুর থানা এলাকার কাজলাগড় গ্রামের ঘটনা। ধৃত লক্ষ্মণ মণ্ডল ভগবানপুর-১ ব্লক শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক দফতরের নৈশ প্রহরী। তাঁর স্ত্রী মাধবী মণ্ডল কাজলাগন গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের নির্বাচিত সদস্য।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হারুন রশিদ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, কাজলাগড় মৌজায় পঞ্চায়েত সমিতির জমিতে বনসৃজনের ইউক্যলিপটাস, আকাশমণি ও বাবলা গাছ রয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল রাতে লক্ষ্মণ মণ্ডল বেশ কিছু গাছ কেটে আত্মসাতের চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ পাঁচটি গাছ উদ্ধার করে। ভগবানপুরের সিপিএম নেতা গৌরবকান্তি অবশ্য বলেন, “এলাকায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের সময় কয়েক জন শ্রমিক রাস্তা বাঁধানোর জন্য গাছ কাটছিলেন। সে সময় সেখানে ছিলেন লক্ষ্মণবাবু। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।”

খাঁচাবন্দি বাঘ
বন দফতরের খাঁচায় ধরা পড়ল বাঘ। রবিবার রাতে গোসাবার পিরখালি-১ জঙ্গলে বাঘটি ধরা পড়ে। বন দফতর সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে গোসাবার পাখিরালয়, দুলকি, সোনাগাঁও এলাকায় বাঘ হানা দিচ্ছিল। বাঘ ধরতে রবিবার খাঁচা পাতেন বনকর্মীরা। তাতেই ধরা পড়ে বাঘটি। ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মঙ্গলবার বাঘটিকে নারায়ণতলা জঙ্গলে ছাড়া হবে।”

আলোচনায় সাপ
সাপ নিয়ে একটি আলোচনাসভা হল সোমবার। উদ্যোক্তা ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কোন সাপ বিষধর, কোন সাপের বিষ নেই, সপর্দষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ কী করণীয় এ সবই আলোচনা হয়। হাতেকলমে বোঝাতে কয়েকটি বিষধর সাপও নিয়ে আসা হয়েছিল। বিএমওএইচ রজত পাল বলেন, “সাপ সম্বন্ধে সাধারণ মানুষকে একটা ধারণা দিতে ও সপর্দষ্ট হলে কী করতে তা বোঝাতেই এই আয়োজন।”

গ্রামে হাতির হানা, উদ্বেগ
গড়বেতা ও আমলাগোড়া রেঞ্জের অন্তর্গত ৪-৫টি গ্রামে গত ক’দিন ধরেই তান্ডব চালাচ্ছে হাতির একটি দল। ময়ূরঝর্ণা থেকে আসা একটি হাতির দলটি ইতিমধ্যে ৫০- ৬০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে। ৪-৫টি বাড়িও ভেঙেছে। মাঝেমধ্যেই জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দলটিতে প্রায় ২০টি হাতি রয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.