হাতির হানা পানাবস্তিতে
ভুট্টার মরশুম শুরু হতেই বুনো হাতির পাল হানা দিয়ে বিঘের পর বিঘে ভুট্টা খেত তছনছ করছে পানা বনবস্তি এলাকায়। প্রায় প্রতি রাতে হাতির হানা হলেও বনকর্মীদের দেখা নেই বলে অভিযোগ। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানার রেঞ্জার ভবেন ঋষি জানান, হাতির পালের হানায় পানা বন বস্তিতে বিঘের পর বিঘে ভুট্টার ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু জঙ্গলে পাহারা, কাঠচোর ধরা ও বন্যপ্রাণির উদ্ধার কাজে যেতে হওয়ায় বনকর্মীরাও সব সময় হাতির তাড়াতে যেতে পারছেন না। ট্রেজারির মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় বনবস্তির বাসিন্দাদের হাতে সার্চলাইট বা পতাকা তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত সমস্যা মিটবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
তছনছ ভুট্টা খেত। ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।
ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের পানা বনবস্তি এলাকায় প্রায় একশো ঘর বাসিন্দা বসবাস করেন। তাঁদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ ও গোপালন। ভুট্টা চাষ করে এলাকার বাসিন্দারা সারা বছরের জন্য ভুট্টার ছাতু, ভুট্টার আটা ও ভুট্টা দিয়ে চাল তৈরী করে রাখেন। যা দিয়ে তাঁদের খাবারের সংস্থান হয়। বন দফতরের উদাসীনতায় প্রতি বছর রায়মাটাং জঙ্গল থেকে বুনো হাতির পাল ভুট্টা খেতে ঢুকে পড়ে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দা জিতরাজ ছেত্রী বলেন, “সন্ধ্যা নামতেই হাতির পাল এলাকায় ঢোকে। ভুট্টা খেত তছনছ করে। বছর কয়েক আগে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে হাতির উপদ্রব ঠেকাতে বৈদ্যুতিক বেড়া দেওয়া হলেও বাস্তবে তা দিয়ে কাজের কাজ কিছু হয়নি।” অনুপ ছেত্রী জানান, এ বছর তিনি প্রায় সাড়ে সাত বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছিলেন। হাতির তান্ডবে প্রায় পুরো খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কালচিনির জেলা পরিষদ সদস্য আরএসপির রামকুমার লামা জানান, হাতির পালের হানায় ভুট্টা খেত নষ্ট হচ্ছে। বন দফতর শীঘ্র ব্যবস্থা না-নিলে তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.