|
|
|
|
জমিতে বর্গা নিয়ে সংঘর্ষ পুড়শুড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুড়শুড়া |
জমি দখলের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে পুড়শুড়ার হরিহর গ্রামের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমির মালিক এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। অভিযুক্ত ওই নেতা পুড়শুড়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি জয়দেব জানা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিহর গ্রামের প্রভাত গুছাইত নামে এক চাষি এলাকারই তৃণমূল কর্মী প্রহ্লাদ মণ্ডলের জমিতে বর্গার আবেদন করায় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। প্রহ্লাদবাবু বলেন, “গত ২৫ বছর ধরে ওই জমি আমরাই চাষ করছি। আমরাই মালিক। জয়দেববাবুর পরিবারের এক সদস্যের কাছ থেকে বাবা ওই জমি কিনেছিলেন। এখন প্রভাত গুছাইতকে চাষি সাজিয়ে জয়দেববাবু ওই জমি অন্যায় ভাবে কেড়ে নিতে চাইছেন।” সম্প্রতি প্রভাতবাবু ওই জমিতে বর্গার আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি, “গত ৫ বছরের বেশি সময় ধরে আমি ওই জমিতে চাষ করছি। মাঠের গভীর নলকূপ খারাপ হওয়ার পর পতিত জমিটি আমায় চাষ করতে দেন প্রহ্লাদবাবুরা। সম্প্রতি নলকূপটি সারানোর পর জমির মালিক জমি কেড়ে নিতে চাইছে। আমি বর্গার আবেদন করেছি।” তাঁর আবেদনের তদন্ত করতে সোমবার গ্রামে গিয়েছিলেন ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের রেভেনিউ ইনস্পেক্টর প্রদ্যুৎ গুহ। সে সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েক জন তৃণমূল নেতা-কর্মী এবং এলাকার মানুষ। অভিযোগ, এ দিন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের ওই অফিসারের সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জমির মালিকপক্ষের লোকজন এবং জয়দেববাবুর অনুগামী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। এর জেরে তদন্ত বন্ধ করে ফিরে যান ওই আধিকারিক। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পুড়শুড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাস্থলে সংঘর্ষের জন্য তদন্ত করার সুযোগ ছিল না।”
অন্য দিকে, জয়দেববাবু বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” পুড়শুড়ার বিধায়ক তৃণমূলের পারভেজ রহমান বলেন, “হরিহর গ্রামে জমি নিয়ে একটা অশান্তি হয়েছে। দলের ব্লক সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। অন্য পক্ষকেও ডাকা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|