অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্মীর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল আর এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটে বলাগড়ের জিরাটে। পাল্টা মারধরের নালিশও দায়ের হয়েছে।
মার, পাল্টা মারের অভিযোগে পুলিশ ৩ জনকে ধরে। ধৃতদের মধ্যে এক হোটেল মালিকও আছেন। তাঁকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার সকালে অসম লিঙ্ক রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই অবরোধের জেরে তীব্র যানজটে নাকাল হন মানুষজন। |
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, জিরাটের বারুইপাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী সুবল মালিক। তিনি হুগলি জেলা পুলিশের হোমগার্ড ছিলেন। স্বামী অবসর নেওয়ার পর তাঁর স্ত্রী ঝর্না মালিক স্থানীয় একটি হোটেলে কাজ নেন। চাকরি সূত্রেই সুবলবাবুর পরিচিত ছিলেন ওই এলাকারই বাসিন্দা জেলা পুলিশের কর্মী পরিমল দত্ত। বর্তমানে তিনি বলাগড় থানার হোমগার্ড। ঝর্ণাদেবীর অভিযোগ, পরিমলবাবু ঝর্নাদেবীকে উত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি তিনি তাঁর স্বামী এবং পাড়া-প্রতিবেশীদেরও জানান।
রবিবার সকালে হঠাৎই পরিমলবাবু ওই হোটেলে চড়াও হন। ঝর্নাদেবীকে জোর করে হোটেল থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলার চিৎকারে তখন হোটেল মালিক ও তাঁর ছেলে সেখানে ছুটে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রহৃত মহিলাকে বাঁচাতে ওই পুলিশ কর্মীকে পাল্টা মারধর দেন তাঁরা। প্রচণ্ড মারে ঝর্না ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আসে। গ্রেফতার করা হয় পরিমলবাবুকে। ঝর্নাদেবীকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঝর্নাদেবী ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ দিকে, পরিমলবাবুর স্ত্রী অঞ্জলি দত্ত বলাগড় থানায় তাঁর স্বামীকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেন হোটেলের মালিক ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। পুলিশ সেই অভিযোগ পেয়ে ওই দু’জনকে ধরে। হোটেল মালিককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার সকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং গ্রামবাসীরা অবরোধ শুরু করেন অসম লিঙ্ক রোডে জিরাট মোড়ে। এ দিন ধৃত তিন জনকে চুঁচুড়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |