সেন্ট জেভিয়ার্সকে রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত একক জেসুইট বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে চান কলেজ-কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকারের কাছে এই মর্মে প্রস্তাব দিতে চলেছেন তাঁরা। সরকার এই প্রস্তাব মেনে নিলে সেন্ট জেভিয়ার্সই জেসুইট মিশনারি পরিচালিত প্রথম সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলে ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজের দাবি। সেই সঙ্গে এ বারেই বাংলা অনার্স পাঠ্যক্রম চালু করছে সেন্ট জেভিয়ার্স। ২০০৬ সালে রাজ্যের প্রথম স্বশাসিত কলেজের মর্যাদা পায় সেন্ট জেভিয়ার্স। গত জানুয়ারিতে কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্য সরকার চায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হোক সেন্ট জেভিয়ার্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গড়ার জন্য সম্প্রতি সরকারের তরফে ওই কলেজকে রাজারহাটে ১৬ একর জমিও দেওয়া হয়েছে।
অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজ সোমবার জানান, কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাব দিতে সাত সদস্যের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ তৈরি করেছেন তিনি। অধ্যক্ষ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা, তার বিভিন্ন পরিচালক সংস্থা, শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করেছে ওই থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। সেটি আমাদের প্রাক্তনী সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, জেসুইট সংগঠনগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে।” সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন ‘ক্যালকাটা প্রভিন্স অফ দ্য সোসাইটি অফ জিসাস’-এর অনুমোদন পেলে ওই খসড়া রাজ্যের কাছে জমা দেওয়া হবে। অধ্যক্ষ জানান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ বছর জুলাই থেকে সেন্ট জেভিয়ার্সে বাংলা অনার্স চালু করা হচ্ছে। ওই বিভাগে কয়েকটি স্থায়ী শিক্ষক-পদের জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানাবেন কলেজ-কর্তৃপক্ষ। |