স্বামীজি স্মরণে সামিল হতে পারে শিকাগো |
স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে কলকাতায় বিশ্ব যুব উৎসবের আয়োজন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবং শিকাগো শহরকে তাতে সামিল করতে উদ্যোগী হবেন মার্কিন বিদেশ-সচিব হিলারি ক্লিন্টন। সোমবার মহাকরণে হিলারির সঙ্গে আলোচনার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন। ১৮৯৩ সালে তাঁর বিখ্যাত শিকাগো-বক্তৃতার সূচনায় বিবেকানন্দ ওই শহরের নাগরিকদের ভাই-বোন হিসেবে সম্বোধন করেছিলেন। সেই ঘটনাকে স্মরণ করতেই এ শহরে বিশ্ব যুব উৎসবের পরিকল্পনা হয়েছে বলে এ দিন হিলারিকে জানিয়েছেন মমতা। পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, হিলারি তাঁকে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি শিকাগোর মেয়রের সঙ্গে কথা বলবেন। “উৎসবটা যৌথ ভাবে করতে পারলে ভাল হয়। কারণ, দু’টো দেশের ইতিহাস এখানে জড়িত” মন্তব্য করেন মমতা। ‘হাই প্রোফাইল’ অতিথির হাতে এ দিন বিবেকানন্দ সংক্রান্ত একটি বই তুলে দেন মমতা। রামকৃষ্ণকে নিয়ে লেখা একটি বইও ছিল উপহারের তালিকায়। আর রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে গীতাঞ্জলি ও গীতবিতানের ইংরেজি অনুবাদও মার্কিন বিদেশ-সচিবকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে চারটে বই। সঙ্গে কাঁথাস্টিচের উত্তরীয়।
|
উদ্বিগ্ন ছিলাম, সেই ছবি প্রসঙ্গে বললেন হিলারি |
মার্কিন বাহিনী ‘সিল’-এর সঙ্গে যে সংঘর্ষে আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছিলেন, সেই ‘অপরেশান জেরেনিমো’ সরাসরি হোয়াইট হাউসে বসে দেখছিলেন হিলারি ও ওবামা। চিন্তিত হিলারির মুখে হাত দেওয়াসেই ছবি ইন্টারনেটের দৌলতে খুবই পরিচিত। আজ কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সময়ে এই ছবির প্রসঙ্গও ওঠে। হিলারি বলেন, “ঠিক কোন সময়ে এই ছবি তোলা হয়েছিল তা আমার মনে নেই। হয়তো অভিযানের সময়ে যখন সিলের একটা কপ্টার ভেঙে পড়ে তখনই এটা তোলা হয়। তখন খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম।” জানান, ওসামাকে ধরা যাবে কি না, বা তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের অপরেশানের সময়ে নিরাপদে অ্যাবটাবাদের বাড়ি থেকে বার করা যাবে কি না, সেই ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তার মধ্যে ছিলেন তিনি।
|
মত প্রকাশের স্বাধীনতা কমছে ভারতে: রুশদি |
নিজের দেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিতর্কিত লেখক সলমন রুশদি। সৃষ্টিশীল কাজে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই বছরের গোড়াতেই ভারতে জয়পুর সাহিত্য সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ পেলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় নিজের দেশে পা রাখতে পারেননি রুশদি। নিউ ইয়র্কে ‘ফ্রিডম টু রাইট’ শীর্ষক একটি বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, “ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় অসহিষ্ণুতার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। সেখানে উদারতার পরিবেশ দখল করে নিয়েছে ধর্মীয় গোষ্ঠী। এটা ভয়ঙ্কর দিকে যাচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন রোহিনতন মিস্ত্রির উপন্যাস ‘সাচ এ লং জার্নি’ এবং এ কে রামানুজনের প্রবন্ধ ‘থ্রি হান্ড্রেড রামায়নস’-এর কথা। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পাঠ্যক্রম থেকে যেগুলি বাদ পড়েছে কিছু রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে। মকবুল ফিদা হুসেনের মতো শিল্পীও ভারতে থাকতে পারেননি, সেই কথা মনে করিয়ে রুশদি বলেন, “এটা ক্রমাগত হয়েই চলেছে। ধর্মীয় গোষ্ঠীরা একটা জিনিস বাতিল করে, আর তার দায় গিয়ে পড়ে স্রষ্টার উপরে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও দেখাচ্ছে না।” বক্তৃতার পরে রুশদিকে প্রশ্ন করা হয় তিনি ফের কবে ভারতে আসবেন? লেখকের জবাব: এই মুহূর্তে কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে তাঁর স্মৃতিকথা প্রকাশের সময় আবার দেশে আসতে পারেন তিনি।
|
জুতোর বাক্সে পুরনো কলকাতা |
গুছিয়ে রাখা ছিল সেগুলি। কাগজে মুড়িয়ে বড় জুতোর বাক্সের মধ্যে। বয়স পেরিয়ে গিয়েছে একশো। কিন্তু এর মধ্যে এক দিনও খুলে দেখেনি কেউ। পুরনো কলকাতার একগুচ্ছ ছবির কাচের পাত। স্কটল্যান্ডের এক সংগ্রহশালায় শতাব্দী প্রাচীন সংগ্রহের মধ্যে হঠাৎই মিলল পুরনো কলকাতার এক ঝলক। ভারতে তখন ব্রিটিশ রাজ। সাল ১৯১২। সস্ত্রীক কলকাতায় এসেছেন সম্রাট পঞ্চম জর্জ। সাজোসাজো রব রাতের কলকাতায়। হুগলি নদী বেয়ে জাহাজ এসে ভিড়ছে চাঁদপাল ঘাটে। তখনও ক্যামেরার ফিল্মের চল হয়নি। ছবি তোলা হতো নানান মাপের কাচের পাতের সাহায্যে। পঞ্চম জর্জের কলকাতায় আসার এমনই দুর্লভ ছবির পাত রয়েছে ওই জুতোর বাক্সের ভিতরে। এ ছাড়াও সেখানে রয়েছে পুজো উপলক্ষে ময়দানে জমা হওয়া ভিড়ের বা হাওড়া স্টেশন চত্বরে বোঝাই গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়ার ছবিও। তবে কে তুলেছিলেন এই সমস্ত ছবি, তা জানা যায়নি এখনও। তেমনি উত্তর মেলেনি, এই সংগ্রহশালাতেই বা এই ছবি এল কী করে। |