পুরসভা হাজার দুয়েক নতুন জলের সংযোগ দেওয়ায় বর্ধমানে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সোমবার বর্ধমান পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়। পরে সিপিএমের পুরপ্রধান আইনুল হকের হাতে আট দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
কাউন্সিলর তথা শহর যুব তৃণমূল সভাপতি খোকন দাসের অভিযোগ, “জল সরবরাহের ক্ষমতা না থাকায় পুরসভা গত দু’বছরে নতুন সংযোগ দিতে পারেনি। কিন্তু কিছু দিন আগে হঠাৎই বাড়ি-বাড়ি প্রায় দু’হাজার নতুন সংযোগ দেওয়া হয়। এতে জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে। তখন শহরের কোনও ওয়ার্ডই আর ঠিক মতো জল পাবে না।” তৃণমূলের বর্ধমান শহরের নেতা শিবশঙ্কর ঘোষ বলেন, “পরের বছর পুরভোট। তার আগে ‘কল্পতরু’ হতে গিয়ে সিপিএম জল সরবরাহ বিপর্যস্ত করতে চলেছে। আমরা পুরপ্রধানকে বলেছি, ঠিক মতো জল সরবরাহ করতে না পারলে নতুন সংযোগগুলি প্রত্যাহার করতে হবে।” |
পুরপ্রধান আইনুল হক অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমরা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কোনও কাজ করি না। বর্ধমান পুর এলাকায় প্রচুর কাজ হয়েছে। গত দু’বছর আমরা নতুন করে জলের সংযোগ দিইনি ঠিকই। সত্যিই জলের টান ছিল। এ বার আমরা অন্তত পাঁচটা নতুন পাম্প বসিয়েছি। প্রতিটি পাম্প দিয়ে ঘণ্টায় ১২ হাজার গ্যালন করে জল সরবরাহ হবে। তাই শহরবাসীর চাহিদা মেটাতে নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে।” তৃণমূলই আগে নতুন সংযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেন।
তৃণমূল এ দিন আরও অভিযোগ করে, ওয়ার্ডগুলি থেকে বেশ কিছু কর্মীকে অফিসের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের জায়গায় কোনও কর্মী না আসায় ন্যূনতম পরিষেবা মিলছে না। শহরের জঞ্জাল ফেলার জায়গা ভরে এসেছে। কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে জঞ্জাল পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নেই। শহরে পুকুর ভরাট হয়ে চললেও পুরসভা নিষ্ক্রিয়। মানুষ ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য বিমা চালু হয়নি। পদ্ধতির জটিলতায় ট্রেড লাইসেন্স, বাড়ির নকশা, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেতেও সমস্যা হচ্ছে। বেশ কিছু পুকুর পানা ও জঞ্জালে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় দূষণ ও মশা-মাছি বাড়ছে। পুরপ্রধান দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। |