দুপুর তখন প্রায় বারোটা। হাসপাতাল চত্বরে রোগীদের যথেষ্ট ভিড়। এমন সময় ধুপ করে একটা শব্দ। দেখা গেল, মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারদিক। হাসপাতালের কর্মীরা দ্রুত তাঁকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলেন। সেখানকার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানালেন, মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। শনিবার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। মৃতের নাম হরেকৃষ্ণ হালদার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হাসপাতালের এগারো তলার ছাদ থেকে পড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের বাড়ি ওই হাসপাতাল সংলগ্ন নেতাজি নগর কলোনিতে। তিনি একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করতেন। বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। ঘটনার কথা জানাজানি হতে তাঁর পাড়ার লোকজন এসে হাসপাতাল চত্বরে কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ এসে সামাল দেয়। তবে যে হাসপাতালে তাঁর দেহ মিলেছে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। তা হলে কী ভাবে তিনি হাসপাতালে ঢুকলেন? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাসপাতালে নতুন কিছু ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে। ফলে মিস্ত্রিদের আনাগোনা ছিল। তা ছাড়া রোগী ও তাঁদের বাড়ির লোকও হামেশা ঢুকছেন। আলাদা করে তাই হয়তো হরেকৃষ্ণবাবুকে আটকাননি নিরাপত্তাকর্মীরা।
|
ঢাকুরিয়ার আমরির অগ্নিকাণ্ডের অভিযুক্ত প্রীতি সুরেখার আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হবে। ধৃত সকলেরই জামিন হয়ে গিয়েছে। শুধু তিন অভিযুক্ত আদিত্য অগ্রবাল, রাহুল তোদি এবং প্রীতি সুরেখা এখনও ফেরার। নিম্ন আদালতে এঁদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। একমাত্র প্রীতি সুরেখা-ই কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। বিচারপতি তপেন সেনের এজলাসে এই আবেদন পেশ করা হলে তিনি ব্যক্তিগত কারণে মামলাটি শুনতে চাননি। তাই, বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি পাঠানো হয়।
|
শনিপুজোর সিন্নি খেয়ে দুর্গাপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৪১ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে, বাকিরা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি। শনিবার শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ওই পুজো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সকলের অবস্থাই স্থিতিশীল। |