রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত একাংশের মদত না থাকলে নারীপাচার এ ভাবে চলতে পারত না বলে মনে করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল। তাঁর এই ধারণা পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে, সে কথাও জানান তিনি।
শনিবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৯টি রাজ্যে নারী পাচার প্রতিরোধে সরকারি আইনজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, পাচার রুখতে পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি সরকারি কৌঁসুলিদেরও সতর্ক থাকা দরকার। বড় শহরে চাকরির টোপ দিয়ে, কখনও বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু মেয়েকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পাচার চক্রে যারা যুক্ত, তাদের শাখা-প্রশাখা এত দূর ছড়িয়ে থাকে যে, অনেক সময় পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েটির হদিসই মেলে না। যে সব সংগঠন পাচার রুখতে দেশজুড়ে কাজ করছে তাদের অভিজ্ঞতা বলে, সংসারের অভাবই নারী পাচার বেড়ে চলার অন্যতম কারণ।
এই রকমই একটি সংগঠনের মতে, বাড়ির মেয়ে শহরে গিয়ে কাজ করলে অভাব ঘুচবে এই আশাতে অনেক সময় অপরিচিত বা সদ্য পরিচিত ব্যক্তির কথায় বিশ্বাস করেন বসেন গ্রামের মা-বাবারা। পরে ওই মেয়েদেরই যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পুলিশ-প্রশাসনের কাছেও যে এই ঘটনা অজানা নয়, তা সিআরপিএফের নারী পাচার দমন বিশেষজ্ঞ এডিজি পি এম নায়ারের কথাতেও বোঝা যায়। নায়ার বলেন, “পর্নোগ্রাফির রমরমা বাড়ছে। তাই কিশোরী পাচারের ঘটনাও বাড়ছে।”
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জানান, সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে নারী পাচারের ঘটনা বেশি। তাঁর কথায়, “কলকাতা ও শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে নারী পাচার চক্র সক্রিয়। কিশোরী-তরুণীদের পাচার করে দেওয়া হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলিতেও।” নারী পাচারের
অন্যতম ক্ষেত্র যে পশ্চিমবঙ্গ, তা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও। তিনি বলেন, “বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের। ইতিমধ্যেই সীমান্ত এলাকায় পুলিশ-প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” মলয়বাবু জানান, পুলিশের বিরুদ্ধেও অনেক সময় নানা অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপারের অফিসে ‘লিগ্যাল অ্যাডভাইসার’ হিসেবে এক জন করে সরকারি আইনজীবী রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
|
রবিশঙ্করকে সম্মান
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সেতার-শিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্করকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কাল এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসাহ দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকও প্রবীণ সেতার শিল্পীকে সম্মানিত করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। |