কটূক্তির প্রতিবাদ করে নিহত ঝাড়খণ্ডের মজুর
হিলাদের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় ঝাড়খণ্ড থেকে ধান কাটতে আসা আদিবাসী মজুরদের উপর রড ও লাঠি নিয়ে হামলা চালাল এক দল লোক। ওই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন দু’জন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে বীরভূমের ইলামবাজার থানার চুনপলাশি গ্রামের ওই ঘটনায় নিহতের নাম রাকেশ মুর্মু (৩২)। বাড়ি দুমকা জেলার মুশলিয়া থানার মণিপুর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা শুকল মুর্মু ও নেহরু মুর্মু নামে দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দলের এক মজুর ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ।
স্থানীয় মজুররাই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে শেখ সানাই নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” শনিবার বোলপুর আদালতের বিচারক ধৃতকে ২ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ধান কাটার জন্য মণিপুর গ্রামের ২৩ জন আদিবাসী পুরুষ-মহিলার দল ৩০ এপ্রিল চুনপলাশিতে আসে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় কিছু খেতমজুর ঝাড়খণ্ডের মজুর দলের মহিলাদের কটূক্তি করে বলে অভিযোগ। তাঁদের পুরুষ সঙ্গীরা প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পুলিশের কাছে ঝাড়খণ্ডের মজুরদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তাঁদের ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে স্থানীয় ওই খেতমজুররা লাঠি, রড এবং অ্যাসিড নিয়ে চড়াও হয়ে মারধর করে।
স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ভোরে বর্ধমান মেডিক্যালে রাকেশের মৃত্যু হয়। আহত দিনমজুর শুকল মুর্মুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করেছে। ওই দলের খাড়া টুডুকে ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন।
শনিবার সকালে বীরভূমের আদিবাসীদের একটি সংগঠনের সদস্যেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের মজুরদের পাশে দাঁড়ান। সংগঠনের আহ্বায়ক সুনীল সরেন বলেন, “এ-রকম অমানবিক ঘটনা কোনও ভাবেই মানা যায় না। পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”

বধূ ‘নির্যাতন’, গ্রেফতার বিশ্বভারতীর অধ্যাপক
স্ত্রী-কে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগে বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, তাঁর নাম বিশাল ভান। শান্তিনিকেতনের সেবাপল্লির বাসিন্দা ওই অধ্যাপকের আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতন শিল্প সদনের ডিজাইনিং বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান বিশালবাবুর বিরুদ্ধে শনিবার সন্ধ্যায় বোলপুর থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী অন্তরা ভান। বোলপুর থানায় ডেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করে। বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “স্ত্রী-র অভিযোগের ভিত্তিতে বিশালবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তিনি জানান, আজ, রবিবার ওই অধ্যাপককে বোলপুর আদালতে হাজির করানো হবে। বিশালবাবু অবশ্য দাবি করেন, “আমার স্ত্রী মানসিক অবসাদগ্রস্ত। তাঁর চিকিৎসা চলছে। আমি স্ত্রী-কে কোনও ভাবে নির্যাতন করিনি।” অন্তরাদেবী বলেন, “আমার যা বলার, তা পুলিশকে বলেছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.