|
|
|
|
হলদিয়ার ২৬টি ওয়ার্ডে ৩৮ প্রার্থী, অস্বস্তি তৃণমূলে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
হলদিয়া পুরসভার ২৬টি ওয়ার্ডের জন্য শুক্রবার ১৭ জন তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সোমবার বাকি ৯টি ওয়ার্ডে দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন বলে ঠিক ছিল। তার আগেই শনিবার তৃণমূল পরিচয়েই দলের ২১ জন নেতা-কর্মী মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। সব মিলিয়ে হলদিয়ার ২৬টি ওয়ার্ডের জন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূলের ৩৮ জন মনোনয়ন জমা দিলেন। পরিস্থিতি ‘অস্বস্তিকর’ বুঝেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ‘বিক্ষুব্ধ’ বা ‘বিদ্রোহী’দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছেন। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে কারা দলের অনুমোদিত প্রার্থী আর কারা নন। দলের স্বীকৃত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের সঙ্গে আসন রফার জন্য আর অপেক্ষা না করে শনিবার থেকে হলদিয়া ও পাঁশকুড়া পুরসভায় মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করল কংগ্রেসও। এ দিন হলদিয়ার ২৬টির মধ্যে ১৭টি এবং পাঁশকুড়ার ১৭টির মধ্যে ৪টি ওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন জমা দেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশ মিশ্রের বক্তব্য, “পুরভোটে জোটের জন্য জেলা বা রাজ্য-স্তরে তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি। ওঁরা আলাদা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কংগ্রেসও একক ভাবেই দুই পুরসভায় লড়বে।” সরকারের শরিক হওয়া সত্ত্বেও পুরভোটে সরকারের ‘ব্যর্থতা’ বা ‘গাফিলতি’র দিকগুলিও কংগ্রেস প্রচারে তুলে ধরবে বলে জানান ওমপ্রকাশ।
হলদিয়ায় এ দিন বামফ্রন্টের ১৩ জনও (সিপিএমের ৮ জন, সিপিআইয়ের ৪ ও আরএসপি-র এক জন) মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। অন্য ১৩টি আসনে বৃহস্পতিবারই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠ-সহ ১৩ জন সিপিএম প্রার্থী। বীরভূমের নলহাটি পুরসভা এবং নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়ার নির্বাচনের জন্যও শনিবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাম-প্রার্থীরা। কুপার্সে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও কংগ্রেস উন্নয়নমূলক কাজ করেনি বলে ইতিমধ্যে প্রচারও শুরু করেছে বামেরা। কুপার্সের ভোটে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীও। কৃষ্ণনগরে এ দিন যুব-তৃণমূলের এক সমাবেশে কংগ্রেসকে ‘সিপিএমের বন্ধু’ বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। |
|
|
|
|
|