দ্বৈত নাগরিকত্বের মতো দ্বৈত সমর্থনও কি খেলার মাঠে সম্ভব? ভারতীয় খেলার মাঠে অদ্যাপি দৃশ্যমান হয়নি। প্রায় দেড়শো বছর বয়সি ইডেনও প্রথম প্রত্যক্ষ করল!
যখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পুণেকে জয়ের মুখে দাঁড় করিয়ে দেওয়া ৩৫ বলে ৩৬ করে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, গোটা ইডেন দাঁড়িয়ে উঠল তাঁর জন্য। মোহনবাগান মাঠে সকালে হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটোকে যদি ঘোষিত গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়ে থাকে, এটা ছিল ইডেন জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গার্ড অফ অনার! যারা দাঁড়িয়ে সৌরভকে গভীর বিদায়ী সম্মান জানাচ্ছিল, তাদের অধিকাংশের হাতেই কেকেআর পতাকা। এরাই এতক্ষণ চিৎকার আর আবেগে সংখ্যালঘিষ্ঠ করে দিয়েছিল পুণে সমর্থকদের। আইকনের অধিনায়কত্ব করা দল নয়, নিবিড় সমর্থন জানাচ্ছিল নিজের শহরকে। ফেটে পড়ছিল প্রতিটি পুণে উইকেট পতনে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য অন্য হিসেব! সারা দিন সৌরভের জন্য এরা চেঁচিয়ে গিয়েছে। মাঠের দড়িটা অতিক্রম করার আগে এদের ভালবাসার গর্জনকে এ বার সৌরভ নিজেও ব্যাট তুলে প্রত্যুত্তর দিলেন।
জেতার জন্য বাকি ১৫ বলে মাত্র ২৩ রান চাই। হাতে চার উইকেট। এত সহজ পরিস্থিতি বলেই কি ব্যাটটা তুললেন? মনে হল, না। সৌরভও জানেন ফ্র্যাঞ্চাইজি দুনিয়া থেকে তাঁর বিদায় নেওয়ার সময় হয়েছে। ইডেনে তাই এটাই শেষ ইনিংস ছিল! শনিবারের ম্যাচ থেকে অতিরিক্ত কোনও অর্থ পাবেন না সৌরভ। কিন্তু বকলমে এটাই দাঁড়িয়ে গেল বাঙালির দেওয়া তাঁকে ভালবাসার বেনিফিট ম্যাচ। খেলা শেষ হওয়ার বেশ কিছু ঘণ্টা পরে শহর জুড়ে প্রচুর মুষড়ে পড়া মানুষ আর তাদের কণ্ঠস্বর। যারা চেয়েছিল দাদা অন্তত ৫ মে তারিখটায় জিতে শেষ করুন। সংখ্যাধিক্য অবশ্য এই সমঝোতাটাই চেয়েছিল: দাদা দারুণ খেলুন কিন্তু কেকেআর যেন শেষ বলে হলেও জেতে। |
শহরের প্রতিক্রিয়াগুলো তো তবু আন্দাজ করা সম্ভব। বিচিত্র যে সব দৃশ্য ঘটা শুরু হল প্রাইজ দেওয়ার পরপর, ঘটবে কে ভেবেছিল? গম্ভীর নিজের টিম নিয়ে হঠাৎ ভিকট্রি ল্যাপ দেওয়া শুরু করলেন। ভিকট্রি ল্যাপ তখনই হয় যখন কোনও সিরিজ জেতা ফলের সঙ্গে জড়িত থাকে। টিম অসম্ভব কোনও ম্যাচ জিতে উঠলেও হয়। আইপিএলে ভিকট্রি ল্যাপ সাধারণত হয়ে থাকে টিম সেমিফাইনাল পৌঁছলে। বা গ্রুপে ঘরের মাঠে তাদের শেষ ম্যাচ খেললে। তখন দর্শকদের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ গোটা মাঠ দৌড়ে ধন্যবাদ দেওয়া হয়। শনিবারের দৌড়টা অভিনব এই জন্য, খান বনাম দাদা মর্যাদা যুদ্ধে ৭ রানে জিতে ওঠার পরেও নিছক অঙ্কের বিচারে কেকেআরের সেমিফাইনাল সিদ্ধি এখনও হয়নি। এটা অভাবিত জয়ও হওয়া উচিত নয়। একটা টিম পয়েন্ট তালিকায় দু’নম্বরে। আর একটা একেবারে নীচের এক ধাপ আগে। তার পরেও এই উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণে আরও নিশ্চিত হওয়া গেল এক হিসেবে ম্যাচটা মর্যাদার আইপিএল ফাইনালই ছিল। অভাবনীয় কাণ্ডকারখানার শেষ অঙ্ক হিসেবে এর পর শাহরুখ আর সৌরভ একসঙ্গে মাঠ পরিক্রমা শুরু করলেন। গোটা পৃথিবীর যেখানে বাঙালি আছে সবাই এত মাস জেনে এসেছে খান ভার্সাস দাদা। যবনিকা পতনের সময় দেখা গেল খান এবং দাদা। দ্বৈত সমর্থনকারী মাঠও তীব্র উল্লাস করল এঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরায়। পর্দা পড়ার পর দাঁড়িয়ে গেল পুণেই যেন উপর্যুপরি পাঁচ ম্যাচ হেরেছে। তার অধিনায়ক অপরাজিত।
শুধু তো ম্যাচটা মাঠে জেতা-হারার ছিল না। একটা সামাজিক পরীক্ষাও অন্তর্নিহিত ছিল বাইশ গজের বাইরে। এই শহরের নাগরিক কি আইকনের মহিমাচ্ছন্ন থাকবে? না কি শহরকে ঘিরে নতুন গর্বের মিনারকে সুসজ্জিত করতে চাইবে? ইডেন দেখা গেল দ্বিতীয়টার দিকে ঝুঁকে। শাহরুখ যেমন চেয়েছিলেন যে, কেকেআর যখন ইডেনে খেলবে তখন মনে হবে ম্যান ইউ খেলছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড মাঠে। কিন্তু কেকেআর এবং সেই শহরেরই সবচেয়ে বড় আইকন এই দুইয়ের মাধ্যাকর্ষণে দিনভর যে আবেগ উৎপন্ন হল তাকে অভূতপূর্ব বললে কিছুই বলা হয় না। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটমহলে চালু অভিব্যক্তি, একটা ম্যাচ দর্শকদের কাছে কত আকর্ষণীয় হচ্ছে তার দুরন্ত মাপকাঠি হল, কত সংখ্যক ধূমপায়ী খেলার মধ্যে নীচে নামছে দেখা। অস্ট্রেলিয়ার স্টেডিয়ামে ভেতরে তবু স্মোকিংজোন আছে। ইডেনে সিগারেট খেতে হলে একেবারে বাইরে বেরোতে হবে। ভেতরে এমনকী গ্যালারির নীচেও খাওয়া নিষিদ্ধ। এ বারের আইপিএলে সিগারেট নিয়ে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না। তবু শনিবার এমন অসম্ভব টেনশনের ম্যাচে স্মোকাররা সম্মোহিতের মতো খেলা দেখলেন। যে অংশটা বাইরে বেরোলো, পুলিশি হিসেবে সেটা নামমাত্র। এমনই মহিমা ছিল দাদা বনাম খান-এর।
বলা হয়ে থাকে ক্রিকেট ম্যাচের দৈর্ঘ্য যত হ্রাস হয়, ততই তাকে ঘিরে রোম্যান্টিসিজম আর সাহিত্য সৃষ্টির উপাদান কমে। ঠিক এই জন্যই রসকষহীন টি-টোয়েন্টি কভারেজে নামী ক্রিকেটলেখকদের এত অরুচি। ৫ মে ২০১২ ক্রিকেট ইতিহাসে এমন একটা বিরল দিন ছিল যে, ‘বিনোদন সমৃদ্ধ ডান্ডাগুলি’ বলে কুখ্যাত টি-টোয়েন্টি নিয়ে এসেছিল ভরা টেস্ট ক্রিকেটের আমেজ। এমন উপচে পড়া ইডেন তার যাবতীয় আবেগ, উল্লাস, বিনোদন আর শহরের প্রতি অহমিকা নিয়ে কখনও হাজির হয়নি। টিভিতে বসে যাঁরা ম্যাচটা দেখলেন তাঁরা ধরে নিতে পারেন রেডিওতে কমেন্ট্রি শুনলেন। এই ম্যাচটা বোকা বাক্সে দেখার ছিল না। ছিল মাঠে বসে অবিশ্বাস্য উপলব্ধির।
ঠিক দুটোর সময় চড়চড়ে রোদের মধ্যে যে টিমবাসটা এসে ক্লাবহাউসের এক নম্বর গেটে দাঁড়াল তার ওপরে লেখা ‘জয় দাদা’। ভেতর থেকে স্বয়ং দাদাই নামলেন পুণে টিম নিয়ে। পুলিশের লোকদের মধ্যে অনেকে তখন ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবেন কী, মোবাইলে এই আশ্চর্য ছবিটা তুলছিলেন যে, সৌরভ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছেন ইডেন মাঠের বিপক্ষ ড্রেসিংরুমের দিকে। ঝুলন গোস্বামী থেকে জগমোহন ডালমিয়া। ময়দানের চা-ওয়ালা থেকে সাধারণ টিভিকর্মী। সবাইকে তখন একই রকম টেনস্ড দেখাচ্ছে। আরও আশ্চর্যের, আড়াইটে নাগাদ পুণে মাঠে নেমে গেছে। নাইটদের দেখা নেই। তা হলে কি নাইটরাই চাপে? টিভিতে তখন সুনীল গাওস্কর বলছেন, “এত দর্শক। এত বড় ম্যাচ। আজ চাপ নেওয়াটা একটা বড় ফ্যাক্টর হবে।”
অশোক দিন্দার ক্যাচ ফেলা দেখে বোঝা গেল চাপ ফ্যাক্টর হতে শুরু করেছে ঠিকই। ম্যাকালামের যে ক্যাচটা দিন্দা ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ফেললেন, সেটা বাবা ছেলেকে প্রথম রবার বল কিনে দিয়ে ওইটা ধরা প্র্যাক্টিস করান। পার্নেল তিনিও দেখা গেল চাপের শিকার। এমনকী মুরলী কার্তিকের মতো পোড়খাওয়া টি-টোয়েন্টি স্পিনারকেও তখন সত্তর হাজারের অ্যাম্ফিথিয়েটারোচিত উপস্থিতিতে জবুথবু দেখাচ্ছে। পুণে গোটা ইনিংসে ওয়াইড দিল দু’ওভার। সব মিলিয়ে অতিরিক্ত রান ১৯।
গৌতম গম্ভীরের মতো আগ্রাসী মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ তার সুযোগ নেবেন না কখনও হয়! ভারতীয় ক্রিকেটমহলে অনেকেই মনে করেন বিশ্বকাপ ফাইনালের সমস্ত গ্ল্যামার নিয়ে ধোনি চলে গিয়েছেন। কিন্তু আসল লড়াইটা করে যান গম্ভীর। সচিন-সহবাগ ৩০ রানের মধ্যে আউট হয়ে যাওয়ার পর যখন ভারত নিশ্চিত হারের মুখে, তখন ম্যাচের পর যে ওয়াংখেড়ের আকাশে আতসবাজিগুলো পুড়েছিল তার প্রধান কারিগর গম্ভীর। তিনিই সঙ্গকারার শ্রীলঙ্কাকে প্রথম তীব্র পালটা আক্রমণ শুরু করেন।
চলতি আইপিএলে দারুণ ফর্মে আছেন গম্ভীর। স্ট্রাইক রেট ১৫০-এর ওপর। এ দিনও ৩৬ বলে যে ৫৬ করে গেলেন তাতে নার্ভ এবং স্কিল দুটোই ছিল। তাঁর দল বরঞ্চ প্রথম উইকেটে ১১৩ রান যোগ হওয়ার সুবিধে কাজে লাগাতে পারেনি। গম্ভীর আউট হওয়ার পর বাকি ৪৫ বলে কেকেআর করে মাত্র ৩৭ রান। পুণের ভাল ফিনিশার থাকলে অবধারিত এই ম্যাচ তারা জিতে শেষ করত। টিমটার কোচ নেই। পিকের মতো কেউ নেই। থাকলে হয়তো ক্যাটক্যাট করে এতক্ষণে বলেই দিয়েছেন, বাবা ডাঁটা চচ্চড়ি দিয়ে বিরিয়ানি হয় না!
আগে লিখেছি, টি-টোয়েন্টি হয়েও টেস্ট ক্রিকেটের আমেজ ছিল। তা বলে টেস্টের সঙ্গে জড়িত ভিক্টোরীয় সংস্কৃতি মোটেও ছিল না। এটা যে ফ্র্যাঞ্চাইজির রাক্ষুসে পৃথিবী, পুণে ব্যাটিং অর্ডার দেখেই বোঝা গেল। সৌরভ চাইছিলেন ওপেন করতে। সামনেই তিনি যে বেশি স্বচ্ছন্দ বারবার বলেছেন। অথচ কর্তাদের অর্ডারে নামলেন সাত নম্বরে। জীবনে কখনও এত নীচে ব্যাট করেননি। আর তা-ও কিনা নিজের অধিনায়কত্বে! কখনও হয়তো মনেও হল, কেকেআরে অন্তত আমি ব্যাটিং অর্ডারটা ঠিক করার স্বাধীনতা পেতাম।
পুণে যখন ৫৫ রানে পাঁচ উইকেট, ধরেই নেওয়া যাচ্ছিল খেলাটা পুরো কুড়ি ওভার না-ও হতে পারে। তবু সৌরভ নিজের শহরের বিরুদ্ধে মাঠে মানেই তো নাটক অনিবার্য। দ্রুত সেটা শুরু হয়ে গেল। প্রথম বলে সৌরভের জন্য সিলি পয়েন্টে লোক রেখেছিলেন গম্ভীর। পরের ওভারে পেসার। আর সে অবশ্যই ভালবাসা বয়ে নিয়ে আসবে না। মরসুম শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল ৫ মে মার্চেন্ট ডি লাঞ্জের বাউন্সার প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়কের জন্য অপেক্ষা করবে। ডি লাঞ্জ প্রথম ম্যাচে বাজে বল করে ছিটকে যাওয়ায় আলোচনাটা বদলে নতুন নাম আসে ব্রেট লি। ভাগ্যের এমনই পরিহাস, ব্রেট লি-র জ্বর সেই ডি লাঞ্জকেই এই ম্যাচে নামিয়ে দিল। আর সৌরভ ব্যাট করতে নামছেন মানেই তিনি। শীতের পর যেমন বসন্ত আসে। বসন্তের আবির হল তাঁর বাউন্সার। যা সৌরভকে লক্ষ করে আসামাত্র পুলিশ অফিসার বললেন, “এই রে, গ্যালারিতে উত্তেজনা না শুরু হয়ে যায়।”
ম্যাচ নিষ্পত্তির জিয়নকাঠি অবশ্য প্রতিশোধস্পৃহা বা চাপ নেওয়ার ক্ষমতায় নিহিত ছিল না। ছিল বনেদি স্কিলে। যেটা দেখালেন সুনীল নারিন। মাঠের বাইরে গোটা মরসুম তাঁর পরিচর্যা করে যাচ্ছেন গম্ভীর। আজ কেকেআর অধিনায়কের সবচেয়ে চাহিদার দিনে তার প্রত্যুত্তর দিলেন নারিন। ল্যান্স গিবসের পর এত ভাল স্পিনার আর বোধহয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলেনি। বৈধ অ্যাকশনে এতটা দু’দিকে বল ঘোরানো, সেটাও বিশ্বক্রিকেটে এখন বিরল। লক্ষ্যের কাছে এসে যাওয়া আক্রমণাত্মক বিপক্ষ তাঁর চার ওভারে মাত্র ১৩ রান তুলতে পারল। তা-ও স্টিভ স্মিথের উইকেট হারিয়ে। স্মিথের আউটটা অবশ্য সন্দেহজনক। মনে হয় ইনসাইড এজ ছিল। আম্পায়ার মাঠের চিৎকারে বুঝতে পারেননি। নারিনের কোন বলটা ভেতরে যাবে, কোনটা বাইরে সৌরভ অবধি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। উলটো দিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ তিনটে ছক্কা মারলেন পরপর ইউসুফ পাঠানকে। সৌরভ সাইটস্ক্রিনের পাশে ফেললেন রজত ভাটিয়াকে। সেই ভাটিয়াকেই আবার মাঠের বাইরে ফেলতে গিয়ে সীমানার ধারে তিনি ধরা পড়লেন। ওই বলটা ছক্কা হয়ে গেলে গম্ভীরদের ভিকট্রি ল্যাপ বোধহয় হতো না। আইকনেরও তাই বিদায় হল না রাজসিক জয়ে। ইডেনে তাঁর অন্তিম ইনিংস শেষ হল চিরকালীন একটা প্রশ্নকে অসমাপ্ত রেখে। সৌরভ ওপেন করলে কি আজ পুণে জিতত? সেটা যখন ঘটেনি, রেকর্ডে থেকে গেল আদ্যন্ত চাপের ম্যাচ নিষ্পত্তি করে দিয়েছিল নারিনের স্পিনিং ফিঙ্গার। আউটফিল্ডে লেভ ইয়াসিন সদৃশ একটা সেভ করলেন স্টিভ স্মিথ। ঝাঁপিয়ে দুর্ধর্ষ ক্যাচ নিলেন লক্ষ্মীরতন। কিন্তু ম্যাচ যা ঘোরার ঘুরে গেল নারিনের ওই শেষ দু’ওভারে।
স্কিল অক্ষত থাকল তার জায়গায়। চাপ থাকল অবিশ্বাস্য পর্যায়ে। আবেগ থাকল আগ্নেয়গিরি হয়ে বিচরণ করে। ইডেন যত দিন বেঁচে থাকবে তার বুকে এই আপাত ছুটকো টি-টোয়েন্টি ম্যাচটাও থাকবে। অমর হয়ে! |