কাজ থেকে আড্ডার মেজাজ, বিশ্বায়নের ছোঁয়া সর্বত্রই স্পষ্ট রাজারহাট-নিউ টাউনে গড়ে ওঠা নতুন অফিসপাড়ায়। অত্যাধুনিক সব অফিসবাড়িতে সেজে ওঠা ওই এলাকার অফিসযাত্রীদের জন্য কাজের ফাঁকে স্বাদবদলের ঠিকানাও তাই হতে হবে তেমনই ঝাঁ চকচকে। নামী-দামি রেস্তোরাঁ, কফি শপ যেমন চাই, তেমনই দরকার চটজলদি টিফিন সারা অথবা গা এলিয়ে একটু গপ্পের জন্য আধুনিক ব্যবস্থাও। সেই সব চাহিদার কথা মাথায় রেখেই শহরে হাজির হল আরও একটি নতুন রেস্তোরা।ঁ
রাজারহাটের কর্পোরেটদের পছন্দ, প্রয়োজন বিশেষ ভাবে সব কিছুর খোঁজ নিয়েই তৈরি হয়েছে এখানকার মেনু থেকে বসার ব্যবস্থা। |
কাজের ফাঁকে অথবা কাজ করতে করতে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে ঝটপট দুপুরের খাওয়া সারার জন্য রয়েছে নানা ধরনের কম্বো লাঞ্চ মেনু। আবার প্রয়োজনে খাওয়াদাওয়ার ফাঁকে এ রেস্তোরাঁয় বসে সেরে ফেলা যায় ছোটখাটো মিটিংও। সমস্ত রকম প্রয়োজনের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে মানানসই পরিবেশ।
যে কোনও দুপুর অথবা বিকেলে নিউ টাউনের ইকোস্পেস বিজনেস পার্কের একতলায় এই ‘আফ্রা ডেলি’তে গিয়ে চেখে আসা যায় নানা জায়গার নানা রকম সুখাদ্য। পাস্তা, স্যুপ, গার্লিক ব্রেডের কম্বো লাঞ্চ প্যাকে অল্প সময়ে সেরে নেওয়া যায় দুপুরের আহার। নানা ধরনের নিরামিষ-আমিষ র্যাপ, রোলেও সেখানে জমতে পারে অন্য স্বাদের মধ্যাহ্নভোজ।
এ পাড়ায় এক-এক অফিসে এক-এক রকম কাজের সময়। তাই শুধু দুপুরেই নয়, বিভিন্ন মুখরোচক টুকিটাকির ব্যবস্থা থাকছে সকাল ও সন্ধ্যাতেও। কাজ শুরুর আগে বা নাইট ডিউটির শেষে টোস্ট, মার্মালেড, দুধ-কর্নফ্লেক্স আর মাফিনে জমে উঠতে পারে সাহেবি প্রাতরাশ। |
যে কোনও সময়ে গরম কফি আর নানা স্বাদের পেস্ট্রিতে সরগরম হতে পারে ক্ষণিকের আড্ডাও।
এই ঠিকানায় মিলবে দেশ-বিদেশের নানা ধরনের স্ন্যাক্সের সন্ধানও। পিৎজা থেকে চিকেন নাগেটে, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থেকে নানা রকমের পাঁউরুটিতে অফিস থেকে ফেরার পথে পছন্দের সহকর্মী বা বন্ধুদের সঙ্গে চলতে পারে সান্ধ্য স্বাদবদল।
কাজের সূত্রে দেশ-বিদেশে ঘুরে আসা এই পাড়ার সব এগ্জিকিউটিভদের নজর কাড়তে বিশেষ যত্নে সেজেছে এ রেস্তোরাঁর ইন্টিরিয়ারও। রং থেকে আসবাব, সব মিলে তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক আবহ। তাই অনায়াসে এখানে নিমন্ত্রণ জানানো যায় কোনও ভিন্ দেশি বন্ধু অথবা ক্লায়েন্টকেও। |
