দোকানের জমির পাট্টা চেয়ে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন মন্ত্রীর কাছে দাবি জানালেন শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটের ব্যবায়ীদের একাংশ ও হকার্স কর্নার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। শনিবার উদ্বাস্তু পুনর্বাসন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বিধান মার্কেট পরিদর্শনে গেলে ব্যবসায়ীদের একাংশ তাঁকে ওই দাবি জানান। তবে বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা মন্ত্রীর কাছে যাননি। পাট্টা চেয়ে কোনও দাবি করেননি। তাঁদের কথায়, বর্তমানে জমিটি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) অধীনে। বিধান মার্কেট থেকে মঞ্জুলবাবু যান হকার্স কর্নার পরিদর্শনে।
মঞ্জুলবাবু বলেন, “ব্যবসায়ীদের কথা মতো হকার্স কর্নার রেলের জমি। এখানকার জমি উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরকে দেওয়া হয়নি। রেলের কাছ থেকে জমি হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখব।” বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের তিনি জানান, সরকারি ভাবে যাতে বাজারের উন্নতি করা যায় তা দেখবেন। |
তাঁর কথায়, “আমাদের সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দেখব কী করা যায়।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, মঞ্জুলবাবু এ দিন ওই দুটি বাজার ঘুরে দেখেছেন। পরে তিনি এ ব্যাপারে উদ্বাস্তু মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।
বাম জমানায় অশোক ভট্টাচার্য পুরমন্ত্রী তথা এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান থাকার সময় হকার্স কর্নার এবং নিবেদিতা মার্কেটের জায়গা রেলের কাছ থেকে কিনে নিতে উদ্যোগী হন। অশোকবাবুর দাবি, কিছু অংশ বাদে অধিকাংশ জমিই এসজেডিএ’র হাতে রয়েছে। তবে রেলের তরফে জমির রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হয়নি। অশোকবাবু বলেন, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন রেলমন্ত্রী। গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা রেলকে বলে ওই কাজে বাধা দেয়। ক্ষমতায় এলে তাঁরা বিনে পয়সায় জমি পাবেন বলে ব্যবসায়ীদের বোঝান। এসজেডিএ’র তরফে অত্যাধুনিক মার্কেট করার ভাবনা চিন্তা হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি না হলে তাঁদের দোকানের জমি কেনা দামে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।” তৃণমূল নেতৃত্ব অশোকবাবুর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
হকার্স কর্ণার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি কাঞ্চন ভদ্র বলেন, “এই বাজারে প্রায় ১১০০ ব্যবসায়ী রয়েছেন। বাজারের একাংশ জমি এসজেডিএ রেলের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে বলে আমরা জানি। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে থাকা আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের জমির পাট্টা দেওয়া হোক, মন্ত্রীর কাছে এই দাবি জানিয়েছি।” বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাদল গুহ বলেন, “এই জায়গা এসজেডিএ’র অধীনে। পুনর্বাসন মন্ত্রীকে তাই আমাদের তরফে কিছু বলা হয়নি। ব্যবসায়ীরা কারা মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন জানা নেই।” ব্যবসায়ীদের হয়ে চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, “ব্যবসায়ীদের দোকানের জমি পাট্টা দেওয়া হোক। আমরা নিজেরাই পরিকল্পনা করে নিয়ম মেনে দোকান তৈরি করব।” |