ফের সরকারি হাসপাতালে রোগিনীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। গত বৃহস্পতিবার রাতে পাভলভ মানসিক হাসপাতালের এক অস্থায়ী ঠিকাকর্মী ইকবাল সেখানকার এক রোগিনীর শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাসখানেক হল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাউজস্টাফের বিরুদ্ধে এক মূক ও বধির রোগিনীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্যদফতরে তোলপাড় হয়েছিল।
পাভলভের ক্ষেত্রে ঘটনা বৃহস্পতিবার ঘটলেও স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা শনিবারও জানিয়েছেন, তাঁরা এ নিয়ে কিছু শোনেননি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। কিন্তু অভিযুক্ত পলাতক।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রের খবর, ইকবাল ওই হাসপাতালের রান্নাঘরে কাজ করতেন। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে, দু’বার তিনি রোগীদের বাসন মাজার জন্য হাসপাতালের মূল এলাকায় ঢুকতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও সেই ভাবে ঢুকেছিলেন। কিছু ক্ষণ পরেই ওই রোগিনী কাঁদতে-কাঁদতে এসে ডিউটিরত নার্সকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এর পরই কর্তৃপক্ষ ঠিকাসংস্থার মালিককে ডেকে সব জানায়। ইকবালকে বরখাস্ত করা হয়।
প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতালের মধ্যেও রোগীরা কতটা নিরাপদ। বিশেষ করে এই ধরনের হাসপাতাল, যেখানে মানসিক ভাবে অসুস্থ রোগীরা থাকেন এবং নিজেদের ভালমন্দ খুব একটা বুঝতে পারেন না, তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাসপাতালের এলাকা বিশাল। অথচ, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং নার্স যথেষ্ট সংখ্যায় নেই। এখানে রোগীরা হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ান। ফলে এত কম সংখ্যাক কর্মীর পক্ষে প্রত্যেক রোগীর দিকে আলাদা নজর দেওয়া অসম্ভব।
ওই হাসপাতালে মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে রত্নাবলী রায় বলেন, মানসিক রোগিনীর কথা উড়িয়ে না-দিয়ে যে তৎক্ষণাৎ অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। কিন্তু ঘটনাটি শুধু শ্লীলতাহানি-ই ছিল নাকি ধর্ষণের মতো কিছু ঘটেছে, তা বোঝার জন্য তিনদিন পার হয়ে গেলেও রোগিনীর শারীরিক পরীক্ষা কেন হল না? স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাসকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমি ঘটনাটি জানতাম না। বিস্তারে খোঁজ না-নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।”
|
আগুন লেগেছিল হাসপাতালের বাতানুকূল যন্ত্র থেকেই। তবে, হাসপাতালকর্মী ও নার্সদের তৎপরতায়, কলকাতার আমরি কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হল না গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রাণে বাঁচল ৬৭টি নবজাতক। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার মধ্যরাতে। হাসপাতালে, নবজাতকদের কেবিনে আচমকাই বাতানুকূল যন্ত্র থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে দেখে আগুন লেগেছে বুঝতে পারেন এক সদ্য প্রসূতি। ওই কেবিনে তখন ৬৭টি সদ্যোজাত শিশু ছিল। ওই প্রসূতির চেঁচেমেচিতে ছুটে আসেন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। আসেন হাসপাতালের সুপার আর তালুকদারও। শুরু হয় শিশুদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া। দমকল এসে ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। তবে ওই কাজের তত্ত্বাবধান করতে গিয়ে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুপার। তবে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুরা সুস্থ রয়েছে। আগুন কী করে লাগল? এ ব্যাপারে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। |