পরীক্ষাব্যবস্থা লইয়া যে বিস্তর চিন্তাভাবনার অবকাশ রহিয়াছে, এই কথাটি প্রথম বুঝিয়াছিল বামফ্রন্ট সরকার। তাহাদের দিন গিয়াছে, কিন্তু ক্ষমতার অলিন্দে পরীক্ষা লইয়া চিন্তা শেষ হয় নাই। বর্তমান সরকার বিগত এগারো মাসে শিক্ষাব্যবস্থা লইয়া এমনই নাড়াচাড়া করিয়াছে যে আপাতত সব গুলাইয়া গিয়াছে। কোন শ্রেণি অবধি বিনা পরীক্ষাতেই ক্লাসে ওঠা যাইবে, কোন শ্রেণিতে ইউনিট টেস্ট, কোথায় পরীক্ষা না হইলেও ফেল করাইবার নিয়ম আছে পশ্চিমবঙ্গে কেহ এখন এই সমস্ত প্রশ্নের সম্যক উত্তর করিতে পারিবেন না। কিন্তু, এত ধস্তাধস্তিতেও যাহা হয় নাই, তাহার পথ দেখাইলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি জানাইয়া দিয়াছেন, তাঁহার সরকার ১০০-য় ১০০ পাইয়াছে। নম্বর পাওয়ার কথা যখন উঠিয়াছে, তখন নিশ্চয়ই পরীক্ষাও ছিল। সেই পরীক্ষার প্রশ্ন কে করিল, খাতাই বা কে দেখিল, কিছুই জানা গেল না রাজ্যবাসী শুধু পরীক্ষার নম্বর জানিলেন। আসলে, এই পরীক্ষার পরীক্ষার্থী স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি আত্মসমীক্ষায় বিশ্বাসী। তাঁহার প্রশ্নকর্তা তিনি নিজে, সমীক্ষকও তিনিই। ছাত্ররা দাবি করিবে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য যে ব্যবস্থা, তাহাদের জন্যও সেই ব্যবস্থাই করা হউক। দাবিটি মানিতেই হইবে। তবে, রাজ্য জুড়িয়া একশোয় একশো-র ছড়াছড়ি পড়িলে মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্ব একটু কম উজ্জ্বল দেখাইবে বটে। |