|
|
|
|
তার চুরি, ধৃত ৬ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান ও কালনা |
ঠিকাদারের গুদাম থেকে প্রচুর তার চুরি করার পরে পাশের গুদামে ফের চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল ৬ জন। ঘটনাটি ঘটেছে কালনার ধাত্রীগ্রামে। বর্ধমান পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধাত্রীগ্রামের ওই গুদাম থেকে চুরি যাওয়া তামা ও পিতলের তার সহ বেশ কিছু যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে তালা ভাঙার যন্ত্র-সহ পাইপগান, ভোজালি, তলোয়ার ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে বলে বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই তার চুরির চক্রে কলকাতার বটতলা থানা এলাকার এক চোরাই মালের খদ্দের (রিসিভার) জড়িত। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, ব্যান্ডেল কাটোয়া রেলপথে অম্বিকা কালনা থেকে নবদ্বীপ পর্যন্ত রেলপথের বিদ্যুদয়নের জন্য এই তার ও যন্ত্রাংশ আনা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া তার ও যন্ত্রাংশেরর দাম প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। |
|
উদ্ধার সামগ্রী। নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের ওই ঠিকাদারের ধাত্রীগ্রামের গুদাম থেকে গত ১১ এপ্রিল রাতে ওই তার ও যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছিল। তদন্তে নেমে কালনা থানার পুলিশ জানতে পারে। এই চুরির মাল কলকাতা বটতলার এক ‘রিসিভার’ কিনেছেন। নাম সুদর্শন ওরফে দর্শন জয়সওয়াল। কলকাতার বটতলা থানা এলাকায় ওই ‘রিসিভারে’র গুদাম রয়েছে। ওসি অমিতকুমার মিত্রের নেতৃত্বে কালনা পুলিশের একটি দল বটতলা থানার সাহায্য নিয়ে ১৩ এপ্রিল ওই ‘রিসিভারে’র মানিকতলা গুদামে হানা দেয়। যদিও ওই রিসিভারকে গুদামে বা বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
এর পরে ১৬ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি টেলিফোনে পুলিশকে জানায়, ধাত্রীগ্রামের যে গুদামে চুরি হয়েছিল, তার পাশের পূর্ত দফতরের গুদামে কিছুক্ষণ পরে ফের চুরি হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তার পরেই তড়িঘড়ি হানা দিয়ে পুলিশ সেখান থেকে হাতেনাতে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের মধ্যে বিশ্বজিৎ সাহা ও বিশ্বনাথ শীল নামে দু’জন জেরার মুখে স্বীকার করেছেন, ওই ‘রিসিভারে’র নির্দেশেই তাঁরা চোরাই মাল বটতলার গুদামের বদলে হুগলির বাঁশবেড়িয়ার একটি গুদামে লুকিয়ে রেখেছেন। ১৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ওই গুদাম থেকেই চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|