|
|
|
|
কাটোয়ায় অবরোধ |
বর্ধমানের জোড়া খুনে শেষ পর্যন্ত যেতে চায় হাইকোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বর্ধমানের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা এবং জেলা সিপিএম নেতা কমল গায়েনের খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের কেস ডায়েরি দেখে কলকাতা হাইকোর্ট সন্তুষ্ট। দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার জন্য হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত যাবে বলে প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল শুক্রবার মন্তব্য করেছেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রদীপবাবু ও কমলবাবু খুন হন। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি। এ দিন ওই ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা। এই মামলার পুলিশি কেস ডায়েরি আগেই দেখেছে প্রধান বিচারপতি পটেল ও বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। সিআইডি-র এ দিনের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হলেও ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্তের অগ্রগতির দিকে আদালতের নজর থাকবে। জেলা পুলিশের তদন্তের কেস ডায়েরির থেকে সিআইডি তদন্তের কেস ডায়েরি ডিভিশন বেঞ্চকে খুশি করেছে। ৪ মে সিআইডি-কে পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এফআইআরে অভিযুক্ত ২২ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই অন্যদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। ১০ জন সাক্ষীর বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেছে সিআইডি। গোপনে জবানবন্দি নেওয়া হয় ৩০ জনের। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী।
এ দিন মামলার শুনানির সময় অন্যতম আবেদনকারী, আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, সিআইডি ওই মামলার যথাযথ তদন্ত করছে না। তিনি পুনরায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। সুব্রতবাবুর অভিযোগ, বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের সহ-সভাপতি কাকলি গুপ্ত এই জোড়া হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টে তাঁর বাড়ির সামনে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুব্রতবাবু মনে করিয়ে দেন, লালগড়ের নেতাইয়ে হত্যাকাণ্ডের মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, সিপিএম কর্মীরা ওই ঘটনায় জড়িত। তাই রাজ্যের পুলিশের পক্ষে স্বাধীন ভাবে তদন্ত করা সম্ভব নয়। সেই জন্য সিবিআই-কে তদন্ত করতে বলা হয়। বর্ধমানের জোড়া খুনেও শাসক দলের নেত্রী অভিযুক্ত। তাই ওই ঘটনার তদন্তে সিবিআই-কে ডাকা দরকার। ওই ঘটনা নিয়ে দায়ের করা অন্য একটি জনস্বার্থের মামলার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য অবশ্য এ দিন সিবিআই তদন্তের দাবি জানাননি।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ দিন বলেন, নেতাই কাণ্ডে প্রথমে সিআইডি-কেই তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছিল। তারা কয়েক দফা রিপোর্টও জমা দেয়। মাসাধিক কাল সিআইডি-র তদন্ত চলার পরে হাইকোর্ট মনে করে, সুবিচারের স্বার্থে তাদের আর তদন্ত চালাতে দেওয়া উচিত নয়। বর্ধমানের ক্ষেত্রে এখনও ডিভিশন বেঞ্চের এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ ঘটেনি। তবে দোষীদের চিহ্নিত করা ও শাস্তির জন্য হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত যাবে। |
|
|
|
|
|