কয়েকজন সঙ্গী জুটিয়ে সহকর্মীদের উপরে এক অস্থায়ী কর্মী ‘হামলা’ করায় বিঘ্ন হল বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্পে রেল-সেতু নির্মাণের কাজে। শুক্রবার রাতে বালুরঘাট শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের খিদিরপুরে ওই ঘটনার পরে প্রকল্পের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা কাজ বন্ধ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “ঠিকাদার সংস্থার তরফে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তেরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।”
ঠিকাদার সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, খিদিরপুরে আত্রেয়ীর নদীর উপরে রেল-সেতু তৈরির কাজ চলছে গত ডিসেম্বর থেকে। নদী-গর্ভে চারটি সেতু-স্তম্ভ তৈরির কাজ চলছে সেখানে। |
টিনের ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী শিবির থেকে দিনরাত কাজ করছেন ৪০ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২০ জন খিদিরপুর এলাকার। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে সঞ্জয় সরকার নামে নির্মাণ-তদারকির কাজে যুক্ত এক শ্রমিক কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ওই অস্থায়ী শিবিরে ‘তাণ্ডব’ চালান। টিন ও আসবাব ‘ভাঙচুর’ করেন। পাঁচটি হ্যালোজেন-লাইট ‘গুঁড়িয়ে’ দেন। শিবিরের ভারপ্রাপ্ত বিপ্লব বাড়ুইকেও মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শ্রমিকদের একাংশ তাদের জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সঞ্জয় আড়াই হাজার টাকার চুক্তিতে কাজ করেন। বেতন বৃদ্ধি না হওয়া-সহ নানা ব্যাপারে তিনি ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধিদের একাংশের উপরে ‘ক্ষুব্ধ’ ছিলেন। বিপ্লব বাড়ুইয়ের দাবি, “শুক্রবার রাতে কাজ শেষে খাওয়াদাওয়া সেরে শিবিরের প্রত্যেকে ঘুমোতে যান। সেই সময় আমাদের কাজে যুক্ত শ্রমিক সঞ্জয় সরকার-সহ ৬-৭ জন নেশাগ্রস্ত যুবক শিবিরে ঢুকে রান্না করা সব্জি চায়। নৈশ প্রহরী সঞ্জয়কে ওই দলে দেখে তাদের সব্জি দেন। কিন্তু তার পরেই ওরা তাণ্ডব শুরু করে।” বালুরঘাটের ঘটনার খবর পেয়ে ওই ঠিকাদার সংস্থার অধীন মালঞ্চা, বাদামাইল ও হিলিতে আরও তিনটি রেলসেতুর কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হন সংস্থার কর্মীরা। |