সঙ্গিনীর দখল ছাড়তে চায়নি সে। আর তা নিয়েই বক্সার নিমাতি রেঞ্জে অন্য এক দাঁতালের সঙ্গে ঘোর যুদ্ধ বেধেছিল তার। গুরুতর জখম হয়েছিল দু-জনেই। পরিণতিতে শনিবার সকালে মারা গেল একটি সুবিশাল দাঁতাল। নিমতির রেঞ্জের পশ্চিম পোরো বিটের জঙ্গলে টহলদারির সময় বনকর্মীরা ওই দাঁতালটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। শরীর জুড়ে অজস্র ক্ষত নিয়ে পড়ে থাকা হাতির দেহটি ইতিমধ্যেই ‘সৎকার’ও করে দিয়েছেন তারা।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এডিএফও শেখর মজুমদার বলেন, “সকালে বনকর্মীরা টহলদারির সময় দেহটি দেখতে পান। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে দাঁতালটি জখম হয়েছিল। তার ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা দাঁত দুটি সুরক্ষিত রয়েছে।” কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বিট অফিস থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে দু’টি হাতির মরণপন লড়াই সত্ত্বেও তা টের পেলেন না কেন বনকর্মীরা? আহত অন্য হাতিটিরও বা খোঁজ মিলল না কেন? শেখরবাবুর জবাব, “বিট অফিসের কাছেই ঘটনাটি ঘটেছে ঠিকই। বন কর্মীদের চোখ এড়িয়ে গেল কেন তা খতিয়ে দেকা হচ্ছে। আহত অন্য হাতিটিরও কোঁজ চলছে।”
বন দফতর সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় দুটি হাতির লড়াই টের পেয়েছিলেন বনকর্মীরা। নিয়ম অনুযায়ী ঐরাবতের এমন লড়াইয়ের পরে বনকর্মীরা হাতিগুলির খোঁজ করেন। গুরুতর জখম হলে তাদের চিকিৎসাও করা হয়। এ ক্ষেত্রে তা করা হল না কেন তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে জঙ্গলে হাতিদের মধ্যে এমন সংঘর্ষ নতুন নয়। এ সব ক্ষেত্রে একটি হাতির মারা যাওয়াও প্রায় নিয়ম মাফিক কিন্তু তা নিয়ে বন দফতরের গা-ছানা মনোভাব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। দুটি পূণজ্ঞ বয়স্ক হাতির ‘’যুদ্ধের! পরে এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ঝোপঝাড় লন্ডভন্ড হয়ে থাকে। আহত হাতিগুলি কোন দিকে গেছে তাও নজর রাখেন বনকর্মীরা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পশ্চিম পোরো বিটের কর্মীরা তা করেছেন কিনা প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। |