পুরুলিয়া-ভিল্লুপুরম সাপ্তাহিক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হল শুক্রবার। এ দিন বাঁকুড়ার বড়জোড়া থেকে দূরসঞ্চার ব্যবস্থার মাধ্যমে রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়া স্টেশনে সবুজ পতাকা নেড়ে যাত্রার সূচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক কে পি সিংহদেও। তিনি এই ট্রেনটিকে পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার মানুষের জন্য ‘নববর্ষের উপহার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন আদ্রার এডিআরএম রাহুল গৌতম।
রেল সূত্রের খবর, ১৯৭৫ কিলোমিটার যাত্রাপথে ট্রেনটি আদ্রা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, হিজলি, বেলদা, বালেশ্বর, ভুবনেশ্বর, কটক, বিজয়ওয়াড়া, ভেল্লোর ক্যান্টনমেন্ট-সহ ২৬টি স্টেশনে থামবে। যাত্রাপথ পেরোতে সময় লাগবে ৩৮ ঘণ্টা ২০ মিনিট। |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই ট্রেনটি ঘোষণা করেছিলেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধনের তারিখও ঘোষণা হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে অজ্ঞাত কারণে উদ্বোধন পিছিয়ে যায়। তার পরে আরও একটি রেলবাজেট পেরোলেও ট্রেনটি চালু না হওয়ায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শেষ অবধি উদ্বোধনের দিনও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় তথ্য-প্রযুক্তি হাবের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে কে পি সিংহদেও জানিয়েছিলেন তিনি ও জেলার মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো পুরুলিয়া স্টেশন থেকে পতাকা নেড়ে ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করবেন। শুক্রবারও বড়জোড়ার মঞ্চ থেকে রেলমন্ত্রী একই ঘোষণা করেন। কিন্তু পুরুলিয়ার অনুষ্ঠানমঞ্চে শান্তিরামবাবুকে দেখা যায়নি। মঞ্চের পিছনে রেলের ব্যানারেও প্রথমে শান্তিরামবাবুর নাম ছিল না। দলের জেলা সভাপতির নাম ব্যানারে না দেখতে পেয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এর পরে ব্যানারে শান্তিরামবাবুর নাম সেলোটেপ দিয়ে লাগানো হয়। এডিআরএম বলেন, “কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছিল, সব মিটে গিয়েছে।” |