রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্মচারীদের জন্য তৃণমূলের আরও একটি সংগঠনের জন্ম হল শনিবার। আগের সংগঠনের নেতা হলেন তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এ দিন নতুন তৈরি সংগঠনের নেত্রী হলেন দোলা সেন।
এত দিন শোভনবাবুর নেতৃত্বে কর্মচারীদের যে সংগঠনটি ছিল, তার নাম পশ্চিমবঙ্গ ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। দোলাদেবীর দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের পরিবর্তে ‘সারা বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাবন্ধু সমিতি’ নামে নতুন সংগঠন হচ্ছে। এ দিন কলকাতায় শিক্ষাকর্মীদের এক সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মুকুল রায় বলেন, “শিক্ষায় নৈরাজ্য বন্ধ করতে এবং রাজনীতিকরণ রুখতে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কোনও ট্রেড ইউনিয়ন রাখতে চায় না দল। পরিবর্তে সোসাইটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাবন্ধু সমিতি গড়ে তোলা হচ্ছে।” তিনি জানান, দলের সিদ্ধান্তেই তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষা-কর্মীদের নিয়ে দোলা সেনের নেতৃত্বে সারা বাংলা শিক্ষা বন্ধু সমিতি গড়া হবে। |
অনেক কর্মীই মনে করছেন, এর ফলে শোভনবাবুর সংগঠনের গায়ে ট্রেড ইউনিয়নের তকমা লাগিয়ে সেটিকে কার্যত অকেজো করে দেওয়া হল। যদিও অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি শোভনদেববাবু বলেন, “এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা আমার জানা নেই। কোথায়, কবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা জানি না।” এ দিনের সভায় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল সমর্থিত কর্মীরা হাজির ছিলেন। ব্যানারে লেখা ছিল ‘পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের তৃণমূল সংগঠন বিষয়ে জরুরি আলোচনা সভা’।
মুকুলবাবু বলেন, “বাম আমলে যে ভাবে শিক্ষায় রাজনীতিকরণ হয়েছে, তা দেশের কোথাও হয়নি। দল নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও ট্রেড ইউনিয়ন রাখা হবে না। গণ সংগঠন থাকবে।” মুকুলবাবুর ঘোষণার পরে শোভনদেববাবুকে প্রশ্ন করা হয়, দলের এই সিদ্ধান্তের পরেও কি তাঁর ইউনিয়নের অস্তিত্ব থাকবে? তাঁর জবাব, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আপনি যে যে ইউনিয়নের দায়িত্বে আছেন, সেখানেই থাকবেন। তাই রাজ্যের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের নিয়ে তাঁদের ইউনিয়ন যেমন চলছিল তেমনই চলবে।” বলে শোভনদেববাবু জানিয়ে দেন।
|
রাজ্যে নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। ১৯৮৩ সালের আইএএস বাসুদেববাবু বর্তমানে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের সচিব পদে রয়েছেন। ঠিক হয়েছে, পরবর্তী শিল্পসচিব ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তিনিই শিল্প দফতরেরও দায়িত্ব সামলাবেন। বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম কার্যত এ দিনই মহাকরণে শেষ দিন কাটালেন। রাজ্যের তথ্য কমিশনার হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করেছে সরকার। আগামী কাল, সোমবার নতুন কার্যভার গ্রহণ করার কথা বাসুদেববাবুর। |