স্বামী-খুনে স্ত্রীর যাবজ্জীবন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও হলদিয়া |
স্বামী-খুনে অভিযুক্ত স্ত্রী-র যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হল। ২০০৬-এর ২০ অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার শাঁকপুরে খুন হন আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি। গলায় গামছা জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, স্ত্রী নয়নতারা বিবিই তাঁকে খুন করেছে। ঘটনার পর-পরই বাড়ি ছেড়ে পালায় নয়নতারা। কয়েক দিন পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ দিন ধরে শুনানি ও সাক্ষ্যপর্ব চলার পর শনিবার নয়নতারা-র যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন মেদিনীপুরের ফাস্ট-ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক মনোজ রাই।
এ দিনই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার ফাস্ট-ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টেও এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছে। প্রায় ১২ বছর আগে নন্দীগ্রামে খুন হন জনৈক সুখেন দাস। ওই খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নন্দীগ্রাম বাজারের দোকানদার সুভাষ ঘোড়ই। সুখেন দাস হত্যা-মামলায় সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য সুভাষবাবুর উপরে নানা ভাবে চাপ তৈরি করেছিল অভিযুক্তপক্ষ। কিন্তু সেই চাপে দমেননি সুভাষবাবু। ২০০৮-এর ৪ ডিসেম্বর নিজের দোকানের মধ্যেই তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সে রাতেই সুভাষবাবুর বাবা বিষ্ণুপদ ঘোড়ই নন্দীগ্রাম থানায় গোলাম মোস্তাফা ও শেখ আক্রম নামে দু’জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতেই হলদিয়া আদালতের বিচারক সোমনাথ চক্রবর্তী শনিবার গোলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজার নির্দেশ হয়েছে। অন্য অভিযুক্তকে অবশ্য বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত। |
স্কুলঘর থেকে উদ্ধার প্রধান শিক্ষকের দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রাথমিক স্কুলের শ্রেণিকক্ষের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার কেশবচকে। মৃতের নাম পবিত্র পাত্র (৫৮)। বাড়ি বেলদারই অর্জুনী এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিক্ষক শুক্রবার স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। শনিবার সকালে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে দেখে, একটি শ্রেণিকক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষজন আসেন। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ওই শ্রেণিকক্ষে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। গ্রাম-শিক্ষা কমিটিরও সচিব ছিলেন পবিত্রবাবু। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত মানসিক অবসাদে আত্মহত্যাই করেছেন ওই শিক্ষক। |
|