হাতির হামলায় দু’টি পৃথক জায়গায় মৃত্যু হল দুই চাষির। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার চৌবেটা গ্রামে ধান জমিতে জল দিতে গিয়ে এক প্রৌঢ় হাতির দলের সামনে পড়েন। একটি হাতি তাঁকে শুঁড়ে পাকিয়ে আছড়ে মারে। মৃতের নাম অজিত বাজ (৫৭)। চৌবেটা গ্রামেই তাঁর বাড়ি। ওই সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামের চাঁদাবিলা অঞ্চলের তপোবন-বড়শোল এলাকায় একটি ‘রেসিডেন্সিয়াল’ হাতি দাঁত দিয়ে এক যুবককের মাথা ও মুখে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই সুশান্ত সিংহ (৩৫) নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তিনিও নিজের চাষ-জমিতে যান। দুই পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর। |
পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বিষ্ণুপুরে সম্প্রতি ২২টি হাতির দল ঢুকেছে। ওই দলটি শুক্রবার রাতে চৌবেটা গ্রামে ঢোকে। সেই সময় দলটি অজিতবাবুকে সামনে পেয়ে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের ছেলে দীপকের অভিযোগ, “বড় দফতর গ্রামে হাতি ঢোকার খবর আগাম দেয়নি। তা হলে বাবা মাঠে যেত না।” তবে বিষ্ণুপুরের ডিএফও বিদ্যুৎ সরকারের দাবি, “হাতির পালটি এলাকায় আসার পরেই গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তি তা না শোনায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।” শনিবার সকালে নয়াগ্রামের বেগনাডিহিতে কুকুরদলের হামলায় একটি পূর্ণবয়স্ক হরিণ জখম হয়। গ্রামবাসীরা হরিণটিকে উদ্ধার করে বন দফতরকে দেয়। খড়্গপুরের ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “হরিণটির চিকিৎসা চলছে।”
|
লড়াইয়ে মৃত্যু হল এক জলহস্তিনির
সংবাদসংস্থা • ভুবনেশ্বর |
পুরুষ জলহস্তির আক্রমণে মারা গেল বছর দু’য়েকের এক জলহস্তিনি। কাল নন্দনকানন চিড়িয়াখানায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। নন্দনকানন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জলহস্তিদের মধ্যে মারামারি ঠেকাতে জলের মধ্যে লোহার প্রাচীর করা ছিল। কিন্তু এ দিন কোনও ভাবে পুরুষ জলহস্তিটি ওই প্রাচীর ভেঙে জলহস্তিনির এলাকায় ঢুকে পড়ে। এর পরেই তারা নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু করে দেয়। কয়েক মাস আগে একই রকম ঘটনায় আরও একটি জলহস্তি মারা যায়। এর ফলে এখন নন্দনকাননে জলহস্তির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩। |