সরকারের বিরোধে বন্দি মুক্তি কমিটি |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত এনসিটিসি-র বিরোধিতা করলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ রাজ্যে নতুন করে পাঁচজনের উপরে ইউএপিএ আইন প্রয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বন্দি মুক্তি কমিটির। মমতা যে ভাবে এনসিটিসি-র বিরোধিতা করেছেন, তাকে স্বাগত জানিয়েও বন্দী মুক্তি কমিটির সম্পাদক ছোটন দাস মঙ্গলবার বলেন, “মমতা নিজে বলেছেন, এনসিটিসি টাডা বা পোটা-র চেয়েও খারাপ। অথচ, ইউএপিএ আইনে এমন কিছু ধারা রয়েছে, যা টাডা বা পোটাতেও ছিল!” রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে কারও বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আইন ইউএপিএ প্রয়োগ করা যায়। বামফ্রন্টের আমলে মাওবাদী অভিযোগে বহু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল। তখন তৃণমূল তার বিরোধিতা করেছিল। তা হলে কী করে তৃণমূল সরকারে এসে সেই একই ইউএপিএ আইন প্রয়োগ করছে, ছোটনবাবুদের প্রশ্ন সেটাই। ২৭-২৮ এপ্রিল কলকাতায় বন্দি মুক্তি কমিটির রাজ্য সম্মেলন। সেখানে এ নিয়ে কথা হবে।
|
প্রবেশ কর বিল আসছে শুক্রবার |
পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় মালবাহী যানবাহন প্রবেশের উপরে কর বসানোর বিলটি আগামী শুক্রবার বিধানসভায় পেশ করা হবে। বিধানসভার মুখ্য সচেতক শোভন চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার এ কথা জানান। ওই দিন ‘দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাক্স অন এন্ট্রি অফ গুডস ইন্টু লোকাল এরিয়াজ বিল, ২০১২’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। প্রবেশ করের হার কোনও ভাবেই পাঁচ শতাংশের বেশি হবে না। এই বিলের উদ্দেশ্য ও যুক্তি প্রসঙ্গে সরকার জানিয়েছে, এ রাজ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট পণ্যের উপরেই প্রবেশ কর আরোপ করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। এই খাতে প্রাপ্ত অর্থ যে রাজ্যে শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নে লাগানো হবে, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিলে। কর ফাঁকি দিলে ছ’মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। একই সঙ্গে বিলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, আইনের অধীনে কর আদায়ে নিযুক্ত কোনও সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যাবে না। |