কেউ চিৎকার করে উঠত ‘তালা’ বলে। পরক্ষণেই কারও গলায় শোনা যেত ‘চাবি’ বলে চিৎকার। এক সময় গ্রাম বাংলার অলিগলি মুখরিত হয়ে উঠত ওই চিৎকারে। একটি খেলার সৌজন্যে কচিকাঁচাদের গলায় শোনা যেত ওই চিৎকার। খেলাটির প্রচলিত নাম ‘তালা চাবি’। চর্চার অভাবে ওই খেলাটি বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে।দশ-বারোজন ছেলেমেয়ের মধ্যে একসঙ্গে কিংবা আলাদা ভাবে খেলাটি চলে। প্রথমে ‘উবু-দশ’ করে গণনার মাধ্যমে একজনের ‘মোড়’ নির্ধারণ করা হয়। তারপরে মোড়ধারীকে ঘিরে নিরাপদ দূরত্বে থেকেই মোড়ধারীকে অন্যান্য খেলোয়াড়রা নানা অঙ্গভঙ্গি কিংবা কথায় ধারাবাহিক ভাবে উত্যক্ত করে তুলবে। আর তিতিবিরক্ত হয়ে মোড়ধারী তাদের তাড়া করে বেড়াবে।নিয়ম হল, মোড়ধারী তাড়া করে যাকে নাগালের মধ্যে পাবে তাকে সঙ্গে-সঙ্গে সেখানেই বসে পড়তে হবে। না হলে মোড়ধারী ছুঁয়ে দিলেই তাকে খেলা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় বসে পড়া খেলোয়াড়ের মাথায় হাত রেখে মোড়ধারী ‘তালা’ বলে চিৎকার করে ওঠে। তালা-চিহ্নিত খেলোয়াড়কে ওই ভাবেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য খেলোয়াড়দের কেউ মোড়ধারীর নাগাল এড়িয়ে তার মাথায় হাত রেখে ‘চাবি’ বলে চিৎকার না করে ওঠে, ততক্ষণ ওই তালা-চিহ্নিত খেলোয়াড় খেলায় সামিল হতে পারে না। তবে ওই সময় খেলায় সামিল করতে যাওয়া খেলোয়াড়টিকে যদি মোড়ধারী ছুঁয়ে দিতে পারে তাহলে তখন তাকে ‘মোড়’ খাটতে হবে। অন্যথায় যতক্ষণ না অন্য সকলকে ‘তালা’ দিতে না পারে ততক্ষণ পর্যন্ত ‘মোড়’ খাটতে হয় মোড়ধারীকে।ছেলেবেলার ‘তালা-চাবি’ খেলার দিনগুলি এখনও স্মৃতিতে ভাসে লাভপুরের চৌহাট্টা-র তরুণ মণ্ডল, ময়ূরেশ্বরের ছামনা-র প্রমোদ রায়দের। তারা বলেন, “ছেলেবেলায় ওই খেলাটি এত খেলেছি যে তখন ঘুমের মধ্যেও ‘তালা-চাবি’ বলে চিৎকার করে উঠতাম।” হারিয়ে যাওয়া এই খেলা নিয়ে তাঁদের আক্ষেপ, “আমাদের ছেলেমেয়েরা কেউ খেলাটির কথাই জানে না।”
|
(হারিয়ে যাওয়া খেলা পর্ব-১৪)
|
বোলপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত আন্তঃ ক্লাব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বোলপুর ইয়াং টাউন ক্লাব। ১৫-২২ মার্চ বোলপুর স্টেডিয়ামে ওই প্রতিযোগিতা হয়। যোগ দেয় বোলপুর টাউন ক্লাব, বোলপুর ইয়ং টাউন ক্লাব, দেবেন্দ্রগঞ্জ ইয়ুথ অ্যান্ড বয়েজ ক্লাব, সুপুর দেবদূত ক্লাব। ফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইয়ং টাউন ক্লাব নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে। জবাবে দেবেন্দ্রগঞ্জ ১৫ রান করে অল আউট হয়ে যায়। ইয়ং টাউন ক্লাবের শুভম দাস ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তাপস দে বলেন, “উইনার্স ও রানার্স দল আন্তঃমহকুমা প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে।”
|
সিএবি-র (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল) পরিচালনায় এবং বোলপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় ২৫ মার্চ থেকে বোলপুর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৬ মহকুমা আন্তঃ স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। যোগ দিয়েছে বোলপুর হাইস্কুল, বোলপুর নীরদবরণী হাইস্কুল ও শান্তিনিকেতন পাঠভবন। বোলপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৪টি স্কুল যোগ দেবে। অন্য একটি স্কুলের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
|
জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ২৪ মার্চ সংস্থার মাঠে অনুষ্ঠিত হল অনূর্ধ্ব ১৪ প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। বীরভূম জেলা দলের সঙ্গে খেলা হয় আলিপুরদুয়ারের ডুয়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমির। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ডুয়ার্স ৩০ ওভারের খেলায় ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করে। জবাবে বীরভূম ১২০ রান করে অল আউট হয়ে যায়। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ও সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন যথাক্রমে দেবাশিস মজুমদার এবং অনিল ঝাওয়ার। খেলায় বীরভূমের সায়ন চৌধুরীও নজর কাড়েন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কল্যাণ ঘোষাল বলেন, “দুই ক্রীড়া সংস্থার আলোচনায় ঠিক হয়েছে প্রতিবছর অনূর্ধ্ব ১৪ ও ১২ প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হবে। এক বছর ডয়ার্স খেলতে আসবে বীরভূমে। পরের বছর বীরভূম যাবে ডুয়ার্সে।”
|
সব্যসাচী দত্ত স্মৃতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা জিতল পুরুলিয়ার নডিহা জিমন্যাস্টিক আ্যসোসিয়েশন। পুরুলিয়ার ইয়ুথ ইউনাইটেডের উদ্যোগে ওই ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার আটটি দল। মঙ্গলবার পুরুলিয়া শহরের হিলভিউ ময়দানে ফাইনাল খেলায় নডিহা পুরুলিয়ারই বঙ্গীয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীকে হারায়। প্রথমে ব্যাট করে নডিহা করেছিল ১৫০ রান। জবাবে ১০৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় বঙ্গীয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। নডিহার শান্তনু দত্ত তিন ওভারে তিনটি উইকেট নিয়ে এবং তিরিশ রান করে ফাইনালে ম্যান অফ দি ম্যাচ নির্বাচিত হন।
|
মানভুম ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ২৪-২৫ মার্চ পুরুলিয়ার বিএফসি মাঠে ছিল জেলা স্তরের ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ওই ভলিবল প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল আদ্রার ভেটেরান্স ক্লাব। পুরুষদের বিভাগে যোগ দেয় ১৬টি দল। ওই বিভাগে পুরুলিয়ার টাউন ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আদ্রার ভেটেরান্স ক্লাব। মহিলাদের বিভাগেও সাফল্য পেয়েছে ক্লাব। ফাইনালে পুরুলিয়ারই বিএফসিকে হারিয়ে ভেটেরান্স ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়।
|
বাঁকুড়া প্লেয়ার্স অ্যাসেম্বলির উদ্যোগে কালীকানন্দ সিংহ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বাঁকুড়ার রাইজিং সান। ২৫ মার্চ বাঁকুড়া শহরের তামলিবাঁধ ময়দানে প্রতিযোগিতার ফাইনালে তারা ক্রিকেট আকাদেমি বাঁকুড়াকে ৫ উইকেটে হারায়। উদ্যেক্তা কমিটির সম্পাদক শ্যামল মিদ্যা বলেন, “এ বছর প্রতিযোগিতার ৩৪ তম বর্ষ ছিল। আটটি দল যোগ দিয়েছিল।”
|
• ময়ূশ্বেরের ঘাঁটকুড়ি ধর্মরাজ ক্লাবের পরিচালনায় গ্রামের মাঠে ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হল ৩০দলীয় দিবারাত্রি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। বোলপুর শিবশক্তি ক্লাব চ্যাম্পিয়ন ও হরিপুর-পাহানা ক্রিকেট টিম রানার্স হয়।
• সাঁইথিয়ার অটুয়া জয়দুর্গা ক্লাবের পরিচালনায় ১ এপ্রিল নৈশ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। |