কলকাতা লিগ জিততে টপকাতে হবে শুধু মহমেডানের বাধা
ইস্টবেঙ্গল-৪ (লেন, নির্মল, টোলগে, বুধিরাম)
টালিগঞ্জ অগ্রগামী-০
প্রত্যাশিত ফল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু ফুটবলারদের পারফরম্যান্স ছুঁতে পারল না আশার মাপকাঠি।
অথচ লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর মর্গ্যান সালগাওকর ম্যাচের প্রথম এগারোকেই প্রায় নামিয়েছিলেন। বদল ছিল দু’টি--হরমনজোৎকে সরিয়ে রবার্ট। বলজিতের বদলি লেন। পারফরম্যান্স মন জয় করতে না পারলেও কলকাতা লিগ থেকে টোলগেরা রইলেন মাত্র তিন পয়েন্ট দূরে। মহমেডানকে হারালেই লিগের ট্রফি ঢুকবে লাল-হলুদ তাঁবুতে। দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ খেলতে মহমেডান এখন গ্যাংটকে। সেখানে তাদের শেষ ম্যাচ ১৭ এপ্রিল। তার পর কবে কলকাতা লিগের শেষ ম্যাচ দু’টি হবে কেউ জানে না। তবে মর্গ্যান চান, একই সময়ে যেন ম্যাচ দু’টি শুরু হয় যাতে কোনও দল অতিরিক্ত সুবিধা না পায়।
টালিগঞ্জ অগ্রগামীর ফুটবলাররা দীর্ঘ দিন প্র্যাক্টিসের বাইরে। তাই অল্পেই চোট পাচ্ছিলেন তাঁরা। বিরতির আগে নির্মল ছেত্রীর সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান টালিগঞ্জ গোলকিপার রাজু গঙ্গোপাধ্যায়। নামাতে হয় বদলি গোলকিপার শেখ নাসিবুল হককে। দ্বিতীয়ার্ধে কলার বোনে চোট পাওয়ায় সৌমজিৎ দাসকে তখনই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। পরে জানা যায় তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হবে।
গোলদাতা নির্মল ছেত্রীর মুখ জার্সিতে ঢেকে দিচ্ছেন
টোলগে আর ওপারা। ছবি: উৎপল সরকার।
বিপক্ষের এই করুণ অবস্থাতেও ম্যাচের প্রথম ৩৩ মিনিট মর্গ্যানের কাছে ছিল ৩৩ বছর। তাঁকে বেশ কয়েক বার উত্তেজিত হতে দেখা গেল। পরে স্বীকার করলেন, প্রথম গোলের জন্য অধৈর্য হয়ে পড়ছিলেন। মর্গ্যানের কথায়, “একটা ম্যাচ ভাল খেললে প্রত্যাশা বেড়ে যায়। সালগাওকর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দল যে রকম খেলেছে তার কাছে আজ পৌঁছতে পারেনি।” ৩৩ মিনিটে সৌমিকের ক্রসে হেড করে স্বস্তি আনলেন লেন।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কোচ ছাড়া খেলতে থাকা টালিগঞ্জ স্বাভাবিক ভাবেই ছিল ছন্নছাড়া। তা-ও বিরতির আগে ইস্টবেঙ্গলের খেলা টেনেটুনে পাসমার্ক পাবে। গোটা তিনেক সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন টোলগেরা। কিন্তু রবিবারের সালগাওকর ম্যাচের মতোই বিরতির পর বদলে গেলেন পেন-সঞ্জুরা। সৌমিকের ওভারল্যাপ প্রথমার্ধেও ছিল। এ বার তার সঙ্গে যোগ হল পেন-টোলগের বোঝাপড়া।
এই সময়েই রবার্টের কর্নারে নির্মল পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ালেন। স্কোর ২-০। কিছু পরই টোলগে ৩-০ করলেন। রবিনের ক্রস টোলগে বুকে রিসিভ করে ঠান্ডা মাথায় বল গোলে রাখলেন। এর পরই মর্গ্যান তিন মিনিটে তিনটি বদল করলেন। টোলগের বদলি আর এক স্ট্রাইকার বুধিরাম টুডু ৪-০ করলেন ইনজুরি টাইমে। পেনের অসাধারণ থ্রু ধরে গোলকিপারকে কাটিয়ে বল গোলে ঠেলেন। গোলের পর বুধি জার্সি বুক পর্যন্ত তুলেছিলেন। তাতেও রেফারি তাঁকে হলুদ কার্ড দেখালেন। নিয়ম অনুযায়ী পুরো জার্সি খুলে ফেললে তবেই কার্ড দেখানো হয়। মর্গ্যান যা নিয়ে তর্কও করেন চতুর্থ রেফারির সঙ্গে।
অনেক দিন পর ম্যাচ খেলতে গেলে ফুটবলারদের মোটিভেশনে ঘাটতি পরবে না? মর্গ্যানের জবাব, “তত দিনে আই লিগের ফল বোঝা হয়ে যাবে। সেখানে ভাল কিছু না হলে তখন কলকাতা লিগটা তো পেতেই হবে। এটাই মোটিভেশন হবে।”

ইস্টবেঙ্গল: সন্দীপ, নির্মল, ওপারা, রাজু, সৌমিক (রবিন্দর), সঞ্জু (সুবোধ), পেন, রবার্ট, লেন, টোলগে (বুধিরাম), রবিন।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.