এক রাতের জন্য সচিননগরী থেকে মুম্বই শুধুই দ্রাবিড়ের
মুম্বই এখন কার? শিবসেনারও না, বিজেপিরও না, কংগ্রেসেরও না। সচিন তেন্ডুলকরের।
একে শততম সেঞ্চুরির গরমাগরম হ্যাংওভার। তা নিয়ে চতুর্দিকে বড় বড় বিলবোর্ড।
এর ওপর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মহাতারা। গোটা শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে নানান ফ্লেক্সে শোভা পাচ্ছেন সচিন।
ভরপুর এই সচিননগরীতে মঙ্গলবার রাতে কেমন যেন অবাস্তব ভাবে সম্পন্ন হল রাহুল দ্রাবিড়ের ক্রিকেটীয় জীবনের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া। অবাস্তব এ জন্যই যে, সমারোহের মিলিত আবেগ, গভীরতা এবং তাৎপর্যে এক-এক সময় মনে হচ্ছিল ফ্লেক্সগুলো যা-ই বলুক, এটা আসলে দ্রাবিড়-শহর। প্রাক্তন এক অধিনায়ক বললেন, এখানেই এত আবেগ। সত্যিকারের সমর্থকদের অনুষ্ঠানটা দেখতে দিলে ভালবাসার তীব্রতাটা সত্যি সত্যিই বোঝা যেত। বক্তার নাম বিষেণ সিংহ বেদী।
তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা ছাড়া উপায় নেই। ভারতীয় ক্রিকেটের কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যাপারস্যাপার ঘিরে আবেগের সেলসিয়াস এই পরিমাণ চড়ে যেতে কেউ কখনও দেখেনি। ক্রিকেট বোর্ডের অনুষ্ঠান মানেই ধরে নেওয়া হয়, ওই অফিশিয়ালরা ঘন ঘন স্টেজে উঠবেন, দু’চারটে হাই তোলা বক্তৃতা হবে, মিডিয়াকে পিছনে ঠেলে দেওয়া হবে, তার পর অফিশিয়ালরাই প্রাইজ-টাইজ দিয়ে ভোট অব থ্যাঙ্কস হয়ে যাবে। এটাই চিরকালীন দস্তুর। দ্রাবিড় যেমন ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের ব্যতিক্রমী তিন নম্বর, তেমনই তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে রাতটাও ছিল ব্যতিক্রমী। একই অনুষ্ঠানে নায়ককে ঘিরে তিন বার স্ট্যান্ডিং ওভেশন কেউ কখনও দেখেছে?
বোর্ডের সংবর্ধনায় দ্রাবিড়-পরিবার। ছবি: পিটিআই।
ভারতীয় ক্রিকেটের বিশাল বিশাল ক্ষত্রিয় সেখানে হাজির। ধোনি-সহ গোটা ভারতীয় দল। গাওস্কর। বেঙ্গসরকর। ওয়াড়েকর। বেদী। হরভজন। মোহিন্দর। শ্রীকান্ত। দিলীপ দোশী। কারসন ঘাউড়ি। চাঁদু বোড়ে। হরভজন সিংহ। কুম্বলে। লক্ষ্মণ। সহবাগ। বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার কর্তারা। প্রাক্তন বোর্ড সচিবেরা। এমন সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে লক্ষ্মণ বললেন, “চলুন আমরা সবাই দ্রাবিড়ের জন্য উঠে দাঁড়াই।” সবাই উঠল। এর পর বোর্ড সচিব সঞ্জয় জাগদালে যখন রাহুলকে সংবর্ধিত করছেন, তখন আবার বলা হল সবাইকে উঠতে। দু’বার হল। আর তিন নম্বর বার কাউকে ঘোষণা করতে হয়নি। রাহুলের বক্তৃতা শেষ হতে না হতে আপনাই উঠে দাঁড়াল গোটা জমায়েত। অস্ট্রেলিয়ায় ব্র্যাডম্যান মেমোরিয়াল বক্তৃতা যদি প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরি হয়, আজকেরটা ছিল দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরি। যেখানে রাহুল শুরুই করলেন এই বলে, “আমি ঠিক করেছিলাম আমাকে নিয়ে যে সব বিদায়ী অনুষ্ঠান হচ্ছে তার একটাতেও কাঁদব না। কিন্তু আজকে সত্যিই আমার পরীক্ষা চরমে পৌঁছে গেছে।” বলতে বলতে গলা ধরে গেল তাঁর। মনে হচ্ছিল আজ বোধহয় আর সামলাতে পারবেন না নিজেকে। বক্তৃতা কিছু এগোতে না এগোতে অবশ্য সামলে নিলেন। যে ভাবে টেস্ট ম্যাচে প্রাথমিক অস্বাচ্ছন্দ্যের পর সামলাতেন নতুন বলকে।
অনুষ্ঠান শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ধোনি আনন্দবাজারকে বললেন, “সবাই ব্যাটিংয়ের কথা বলে। আমি লোকটাকে মনে রাখব দুটো জিনিসের জন্য। প্রথম, মর্যাদাবোধ। দ্বিতীয়, কখনও অজুহাত না দেওয়া। আমি সচিনের কাছ থেকে অনেক শিখেছি। কী করে নিজেকে তৈরি করতে হয় প্র্যাক্টিসে। আর রাহুলের কাছ থেকে টোকার চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটা বিপর্যয়ের পর ড্রেসিংরুমে যখন উত্তেজিত খেউড় চলছে, দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ হচ্ছে, তখন এই লোকটা শান্ত ভাবে বলত, কী ভাবে সংশোধন করে পরের ম্যাচটা জেতা যায়।” জয়বন্ত লেলে এগিয়ে এলেন। বরাবরের ঠোঁটকাটা এবং ভারতীয় ক্রিকেটের অবিসংবাদী জোকার। কিন্তু লেলেও আজ সিরিয়াস হয়ে পড়েছেন। বললেন, “ভাবতেই পারছি না রাহুল চলে গেল। এত বড় ক্রিকেটার অথচ একই সঙ্গে ভদ্রলোক আর দ্বিতীয় আসবে না।”
সোমবার রাতে সচিন তেন্ডুলকরের নবতম কীর্তির সম্মানে বিশাল পার্টি দিয়েছিলেন মুকেশ অম্বানী। তাজ ল্যান্ডস এন্ডের বিশাল লবিতে দাঁড়িয়ে সুনীল গাওস্কর বলছিলেন, “এই লবিটা যত বড়, মুকেশের ঘরটা ততটাই বড়। সুপারস্টার অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে ক্রিকেটার, সকলে ছিলেন সেখানে। কিন্তু এমন ক্রিকেটীয় পরিমণ্ডল ছিল না সেখানে। এমন অদ্ভুত গভীরতাও না। ওটা যদি সাক্ষাৎ গ্ল্যামার হয়, এটা ছিল সাক্ষাৎ আবেগ।”
পুরো দ্রাবিড় খানদান উপস্থিত থাকলেন অনুষ্ঠানে। যাদের নিয়ে এখন রাহুলের সময় কাটবে। বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে। এদের নিয়ে অনুষ্ঠানের দিকে এগোতে থাকা দ্রাবিড়ের হাতে দেখা গেল দুটো ল্যাপটপ। ল্যাপটপ দিয়ে কী হবে? রাহুল লজ্জিত ভাবে বললেন, “দুই ছেলের জন্য। ওরা বক্তৃতা-টক্তৃতায় বোর হয়ে যাবে। সেই সময় কার্টুন-টার্টুন দেখিয়ে ওদের বসিয়ে রাখতে হবে।” উপস্থিত ক্রিকেটারদের কেউ কেউ বললেন, ছেলেদুটো নেহাতই ছোট। না হলে বুঝত ওদের পরিবারের জীবনে কী অপরিসীম সম্মানের রাত ছিল আজ।
দ্রাবিড় ভাষণকে যদি সরিয়ে রাখা যায়, অনুষ্ঠানের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক বক্তৃতা অনিল কুম্বলের। কুম্বলে বললেন, “রাহুলের ছেলে যদি টেস্টে তিন উইকেট নিতে পারে তা হলে ও বাবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। আর আমার ছেলে যদি ১৮ অ্যাভারেজ করতে পারে, তা হলে ওর বাবাকে হারিয়ে দেবে।” আরও বললেন, “রাহুল প্ল্যানিং আর স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সফরে এত মগ্ন থাকত যে রাত্তিরে খাবার অর্ডার দেওয়ার সময় অনেক সময় ভুলভাল হয়ে যেত।” এর পর বলতে এলেন সৌরভ। ঘোষক পরিচয় করিয়ে দিলেন এই বলে যে, এই মানুষটাই বিদেশে টিমকে জিততে শিখিয়েছিল। একই সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিলেন, সেই সময় সৌরভের ২১ টেস্ট জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান দ্রাবিড়ের। সৌরভের ক্যাপ্টেন্সিতে আসা জয়ে দ্রাবিড়ের গড় ১০২.৮। সৌরভ কী বলেন অনেকেরই প্রবল কৌতুহল ছিল। এ রকম একক ভাবে বোর্ডের দ্বারা সংবর্ধিত হওয়া তাঁর ভাগ্যে জোটেনি। তিন বছর আগে খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু কোথাও যেন তাঁর আর রাহুলের জীবন একই নাড়িতে বাঁধা। মঞ্চের চার পাশেও দু’জনের প্রচুর ছবি একসঙ্গে। সৌরভ বললেন, “রাহুলকে যখন প্রথম দেখি ওর ১৪ বছর বয়স। তখনই ইংল্যান্ডে ওর একটা সেঞ্চুরি দেখেছিলাম যা ওর জাত চিনিয়ে দিয়েছিল। ওর দেখা আমার সেরা ইনিংস ইডেনে। যেখানে উল্টো দিকে ছিল লক্ষ্মণ। রাহুলের ওই অসাধারণ ইনিংসটা পরবর্তী কালে বিদেশের মাঠে আমাদের জন্য বিরাট তফাত তৈরি করে দিয়েছিল।” মধ্যিখানে তাঁর এবং রাহুলের নানা মান-অভিমান হয়েছিল। সেটাও হাল্কা ছুঁয়ে গেলেন সৌরভ। কোনও দীর্ঘকায় অস্ট্রেলীয়র নাম বললেন না। কিন্তু বলে ফেললেন, “ড্রেসিংরুমে প্রচুর আনন্দের সঙ্গে অনেক সময় প্রচুর ক্ষোভও হয়েছে, রাগও হয়েছে, কিন্তু সেগুলো আজ সব ধুয়েমুছে গেছে।” ব্যাটসম্যান রাহুলের সঙ্গে সহ-অধিনায়ক রাহুলকেও কৃতিত্ব দিলেন সৌরভ। বললেন, “যে পাঁচ বছর ও আমার সহ-অধিনায়ক ছিল, জন রাইট আর ওর কাছ থেকে নেপথ্যে অনেক সাহায্য পেয়েছি আমি। যা কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু ভীষণ দামি ছিল।” সৌরভের বক্তৃতা শেষ করার কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেল হরভজন সিংহ কয়েকটা চেয়ার ছেড়ে এসে করমর্দন করে যাচ্ছেন রাহুলের সঙ্গে। কিছু পরে হরভজন বলে যাবেন, “২৩ হাজার রান করেছে লোকটা। এই রকম তিন নম্বর ব্যাট আর আসবে না।”
কারও কারও মনে হল এই রকম রাতও আসবে না। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আগামী ২ এপ্রিল বিশ্বকাপ জেতার প্রথম বর্ষ পূর্ণ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু ২ এপ্রিল ওয়াংখেড়ের সেই গর্বিত নায়কের সঙ্গে ২৭ মার্চের এখনকার ভারত অধিনায়কের বিস্তর ফারাক। এই ধোনি গত দশ দিন সেলফোন ছাড়া। পরিচিত সেই দাপটটাই নেই। দলবল নিয়ে তিনি এমন ভাবে বসে রইলেন যেন ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে অনূর্ধ্ব ১৯ অধিনায়ক তার টিম নিয়ে বসে রয়েছে। বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেটের আধুনিক সুপারস্টার। তিনিও থ মেরে রাহুলের বক্তৃতা শুনছেন। গোটা যুব ব্রিগেডকে মনে হচ্ছে চিত্রার্পিত। মঙ্গলবার মাঝরাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে উড়ে গেল দল। তার আগে এর চেয়ে বড় উদ্দীপক আর কী হতে পারত যে, একই ড্রেসিংরুম শেয়ার করা একটা মানুষ একই খেলা খেলে কী পর্যায়ে সম্মানিত হতে পারে সেটা কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাওয়া। সংবর্ধনার উত্তরে রাহুল বললেন, “আমি এখনও ভাবছি কতটা আশীর্বাদধন্য। কী ভাবে ক্রিকেটের জন্য আমার জীবন কোথায় বদলে গেল। আজ আমার সামনে যাঁরা নীচে বসে রয়েছেন তাঁরা আমার এক এক জন হিরো। এই গাওস্কর, বিশ্বনাথ, বেদী এঁরা ছিলেন আমার এক এক জন স্বপ্নের নায়ক। ওদের আমি অটোগ্রাফ নেওয়ার কথা ভাবতাম। আমি রেডিওতে শুনতাম পৃথিবীর সব বিশাল বিশাল শহরের কথা। দুর্দান্ত সব মাঠের কথা। ক্রিকেট খেলতে খেলতে আমি সেই স্বপ্নটাকে ধারণ করতে পেরেছি। ধন্য সেই সুযোগ পাওয়া।” সৌরভকে লক্ষ্য করে রাহুল বললেন, “ভাইস ক্যাপ্টেন, ক্যাপ্টেন হিসেবে আমাদের পার্টনারশিপটা প্রায় বিয়ের মতোই ছিল। বিয়েতে যেমন সম্পর্কের ওঠানামা থাকে, আমাদের মধ্যেও তেমনই আবেগের ওঠানামা ঘটেছে। কিন্তু আজ বলতে পারি আমরা সেই টানাপোড়েন থেকে সফল ভাবে বেরিয়ে আসতে পেরেছি।” লক্ষ্মণকে বললেন, “তোমায় ধন্যবাদ। কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের খেলা সর্বকালের সেরা ইনিংসটা তুমি আমাকে উল্টো দিক থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছিলে। ইডেনের ওই অভিজ্ঞতার কথা সারা জীবনে ভুলব না।” ধোনিকে বললেন, “তোমাকে বিশ্বকাপ হাতে তুলতে দেখে আমার মনে পড়ে গিয়েছিল নিজের কথা। কপিল দেবকে যখন বিশ্বকাপ হাতে তুলতে দেখি, আমার বয়স ছিল দশ। কিন্তু অসম্ভব অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম ওই দশ বছর বয়সেই। আমি নিশ্চিত, অনেক দশ বছর বয়সী ওয়াংখেড়েতে তোমাকে কাপ তুলতে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। আর আমার ওই দৃশ্যটা দেখে আরও ভাল লেগেছে কারণ ২০০৭ বিশ্বকাপে আমার নেতৃত্বে আমরা কিছুই করতে পারিনি।”
রাহুল তাঁর বক্তৃতায় ধন্যবাদ দিলেন মাঠকর্মী, কোচ, স্কোরার, আম্পায়ার, এমনকী ক্রিকেটকর্তাদেরও। ক্রিকেটজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে যাদের কাছ থেকে তিনি সাহায্য পেয়েছেন। কোনও ক্রিকেটার সচরাচর যা বলবে না তাই বললেন। বললেন, “বোর্ডকর্তাদের আমি ধন্যবাদ দিতে চাই ভারতকে একটা বিশাল ক্রিকেটীয় শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। অতীতে আমাদের বাধ্যতামূলক ভাবে ইংল্যান্ডে পাঠানো হত সফরের প্রথম অর্ধে, যখন খেলা অনেক বেশি অসুবিধাজনক। যখন পুঁচকে সব হোটেলে রাখা হত। এখন বিসিসিআই অনেক শক্তিশালী। বাকি দেশগুলো ট্যাঁ-ফোঁ করার সুযোগ পায় না। এই ক্ষমতাবৃদ্ধি আমাদের প্লেয়ারদের খুব কাজে আসে। তাই ওদের ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছি না।” ধোনির টিমকে লক্ষ্য করে বললেন, “আমি কিন্তু হাতে চা আর বিস্কিট নিয়ে তোমাদের দিকে খেয়াল রাখব। আর র্যাপ মিউজিক বাদ দিয়ে ড্রেসিংরুমটা ভীষণ মিস করব।” বলতে বলতে গলাটা ফের ধরে গেল তাঁর।
এত কিছু যখন ঘটছে, তারই মধ্যে তত্ত্বতালাশ শুরু হয়ে গেল, ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি মহানায়ক কোথায় গেলেন? তিনি কপিল দেব বোর্ডের অনুষ্ঠানে আসেন না, আসবেন না বোঝা গেল। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকর? তিনি কোথায়? রাহুলের সঙ্গে এত বছর খেললেন, এত পার্টনারশিপ রেকর্ড দু’জনের একসঙ্গে, তিনি গেলেন কোথায়? প্রাক্তন অধিনায়কেরা অবধি খুঁজছেন, সচিন কোথায় গেল? গতকাল রাত অবধি তো শহরেই ছিল। পরে জানা গেল, এ দিন সকালের ফ্লাইটে ইংল্যান্ড চলে গেছেন। অনুষ্ঠানে থাকলে অবশ্য দেখতে পেতেন, অন্তত এক রাত্তিরের জন্য মুম্বই ক্রিকেটের মুকুট হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে তাঁর। হস্তিনাপুর তাঁকে অর্জুনকে নিয়ে নয়, কর্ণের তিরন্দাজি নিয়ে মত্ত।
রাহুল দ্রাবিড়ের ক্রিকেটজীবনের আনুষ্ঠানিক অন্তিম রাত যেন আর এক বার ঘোষণা করে গেল, প্রতিজ্ঞা আর নিষ্ঠায় অবিচলিত থাকলে চরম প্রতিভাবানকে তার বাসভূমিতেও পিছনে ফেলে দেওয়া যায়।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.